রাজধানীর মোহাম্মদপুরে দেশীয় চাপাতি-সামুরাই নিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় পুলিশের তিন এসআই ও এক এএসআই গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর থানাধীন রায়েরবাজার বোর্ড ঘাট এলাকায় এ হামলার সঙ্গে কিশোর গ্যাংয়ের ‘পাটালি গ্রুপ’ জড়িত বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, কয়েকদিন আগে একাধিক হত্যা মামলার আসামি ও ‘পাটালি গ্রুপ’ এর মূলহোতা ফালানকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পাটালি গ্রুপ ও বোর্ড ঘাটের মাদক ব্যবসায়ীরা তখন পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশের অভিযানের সময় এ হামলা করা হয়। এ হামলার নেতৃত্বে ছিল পাটালি গ্রুপের ল্যাংড়া হাসান, ফরহাদ ও চিকু শাকিল। তাদের নেতৃত্বে পিচ্ছি হাসান, স্বপন, শাহিন, ছোট্ট হাসান, সবজি মুন্না, দিপু, সম্রাট, রফিক, রাকিব ও রাসেলসহ ৩০-৪০ জনের গ্রুপ এ হামলা চালায়। এতে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের আহত তিন এসআই ও এক এএসআই হলেন- আফজালুর রশিদ, জসীমউদ্দীন, খোরশেদ আলম ও সোহেল রানা। এছাড়াও পুলিশের আরেক সোর্স আল-আমিন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, রায়ের বাজার এলাকায় মাদকের রমরমা ব্যবসা মূলত কিশোর গ্যাং গ্রুপগুলো টিকিয়ে রেখেছে। কেউ মাদক বন্ধ করতে এলে বা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে এলেই তাদের ওপর কিশোর গ্যাং হামলা চালায়। এসব মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাংগুলোকে আগে আওয়ামী লীগের নেতা শাহআলম জীবন ও তারেকুজ্জামান রাজিব শেল্টার দিতেন। তবে এখন বিএনপি ও যুবদলের কয়েকজন নেতা তাদের শেল্টার দিচ্ছেন। স্থানীয়রা জীবননাশের ভয়ে এসব বিএনপি ও যুবদল নেতাদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।

তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান জানান, পুলিশ অভিযানে গিয়ে কিশোর গ্যাং গ্রুপ ও মাদক ব্যবসায়ীদের অতর্কিত হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে ইনজুরিটা অত বেশি হয়নি। যেহেতু পুলিশ কিশোর গ্যাং ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একেবারে জিরো টলারেন্স। তাই রাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আমরা ওই এলাকা থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছি।