পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অভিযান
চকবাজারে পলিথিন কারখানা সিলগালা, কাঁচামাল জব্দ
পুরান ঢাকা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর চকবাজারে বুধবার নিষিদ্ধ পলিথিনের কয়েকটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের একটি দল অর্ধশতাধিক বস্তা কাঁচামাল জব্দ করেছে। কারখানাগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চারটি পলিথিন কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চকবাজারের কামালবাগ এলাকায় তিনতলা একটি ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় পলিথিন তৈরির কারখানায় অভিযান চালানো হয়। এ অভিযানের খবর পেয়ে কারখানায় তালা ঝুলিয়ে মালিকরা পালিয়ে যান। পরে তালা ভেঙে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সহযোগিতা করেন পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যরা।
অভিযান শেষে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব বেগম রুবিনা ফেরদৌসী বলেন, চকবাজারের কামালবাগ এলাকায় চারটি পলিথিন ব্যাগ তৈরি করার কারখানাতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে অভিযানের খবর আগেই পেয়ে যায় কারখানা কর্তৃপক্ষ। কারখানাগুলোতে তালা দিয়ে তারা চলে যায়। পরে আমরা তালা ভেঙে কারখানাগুলোর ভেতরে প্রবেশ করি। পলিথিন তৈরির কাঁচামাল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া কারখানাগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়। বর্তমান সরকার পলিথিনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। সে অনুযায়ী নিষিদ্ধ পলিথিনের উৎপাদন বন্ধ করতে আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি। ভবিষ্যতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কারখানায় তালা ঝোলানো ছিল। এছাড়া কারখানাটির সাইনবোর্ডও সরানো ছিল। কারখানার প্রধান গেটের তালা ভেঙে দলটি ভেতরে প্রবেশ করে। কারখানায় প্রবেশ করে দেখা যায়, পলিথিন তৈরির এক বিশাল রাজ্য। সারিবদ্ধ পলিথিন তৈরির উন্নতমানের বিদেশি মেশিন। এছাড়া পলিথিন তৈরির ৪০ থেকে ৫০ বস্তা কাঁচামাল পড়ে থাকতে দেখা গেছে। কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
দলটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এর আগে পাইকারি ও খুচরা পলিথিন বিক্রেতাদের দোকানে তারা অভিযান পরিচালনা করেন। কিন্তু এ অভিযানটি অনেক বড়। সরাসরি পলিথিন তৈরির সঙ্গে জড়িত কারখানাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কামালবাগ এলাকায় আরও তিনটি পলিথিন তৈরির বড় কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এগুলোতেও পলিথিন তৈরির বিপুল পরিমাণ কাঁচামাল পাওয়া যায় এবং তৈরি হাজার হাজার পলিথিন পাওয়া যায়। মালামাল ও পলিথিন জব্দ করা হয় এবং কারখানা তিনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।