Logo
Logo
×

রাজধানী

বাহাদুর শাহ পার্ক কোনোভাবেই বাণিজ্যক্ষেত্র হতে পারে না: আনু মুহাম্মদ

Icon

জবি প্রতিনিধি,

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৪ এএম

বাহাদুর শাহ পার্ক কোনোভাবেই বাণিজ্যক্ষেত্র হতে পারে না: আনু মুহাম্মদ

ছবি: সংগৃহীত

ঐতিহ্যবাহী বাহাদুর শাহ পার্ক কোনোভাবেই বাণিজ্যক্ষেত্র হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ‘মুক্ত থাকুক বাহাদুর শাহ পার্ক: গানে কথায় দখলদারিত্বের প্রতিবাদ’ শিরোনামে বাহাদুর শাহ পার্কে ফুটভ্যান-ক্যান্টিন ইজারা বাতিলের দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

‘ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্ক ও পার্কের ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদ’, ’জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড মিউজিক এসোসিয়েশন’ ও ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফোরাম’ এই সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, এটা কল্পনা করা যায় না যে, তারা দেশকে কেমন লুণ্ঠন ক্ষেত্র বানিয়ে ছিল। বিগত সরকারের লোকজন দখল করতে করতে এমন পর্যায়ে গিয়েছিল যে, ঐতিহ্যবাহী এই বাহাদুর শাহ পার্ককেও ছাড় দেয়নি।  আমরা জানি, বাহাদুর শাহ একজন সম্রাট এবং একজন বিশিষ্ট কবি ছিলেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন করার কারণে ব্রিটিশ সরকার তাকে রেঙ্গুনে নির্বাসিত করে ছিল। সেখানেই তাকে কবর দেওয়া হয়। আমি দেখেছি সেখানে ধর্মমত নির্বিশেষ সকল মানুষ আসে তার কবর পরিদর্শনে। আমরা দেখি অনেকেই এখনো এই পার্ককে ভিক্টোরিয়া পার্ক বলে। এই বাহাদুর শাহ পার্কের পরিচিত বাড়ানোর জন্য এখানে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

সমাবেশ ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্ক ও পার্কের ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব আক্তারুজ্জামান বলেন, পুরাতন ঢাকার এক মাত্র অক্সিজেন খ্যাত স্থান ব্রিটিশ বিরোধী প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতিস্তম্ভ শহীদ বেদী। ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী-শিক্ষক, পুরান ঢাকার হাজার হাজার বাসিন্দাদের হাঁটাহাঁটি ব্যায়াম ও বসার স্থান ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্ক। পার্কটিতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিচালনাধীন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নতুন করে আবার ফুডভ্যান ক্যান্টিন ইজারা দরপত্র আহ্বান করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে আপনারা এমন কাজ করতে পারেন না।

উক্ত সমাবেশ সংগীত পরিবেশন করে জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘সমগীত’, ’দ্যা কমরেডস’, ‘চারকোল’, ‘আনন্দলোক’, ‘মনের মানুষ’, ‘রিসারজেন্স’ ও ‘অফসাইড’।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম