চুরি যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা উদ্ধার, গ্রেফতার গৃহকর্মী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩৯ পিএম
চুরি যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা উদ্ধার, গ্রেফতার গৃহকর্মী
চুরি যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকাসহ বরিশালের গৌরনদী এলাকা থেকে একজন গৃহকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির তুরাগ থানা পুলিশ। তার নাম আইরিন আক্তার মুনা (২৮)। বাড়ি বরিশালের গৌরনদীর হোসনেবাদ গ্রামে।
স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরির ঘটনায় গত ১৬ অক্টোবর বাদী নূসরাত জাহানের (৪১) অভিযোগের প্রেক্ষিতে তুরাগ থানায় একটি চুরির মামলা রুজু হয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ৩ অক্টোবর বাদী নূসরাত জাহান তার তুরাগ এলাকায় ফুলবাড়ীয়ার ১/বি রোডের বাসায় মাসিক ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে আইরিন আক্তার মুনাকে গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগ করেন। গত ১৩ অক্টোবর বেলা আনুমানিক দেড়টায় গৃহকর্মী আইরিন আক্তার মুনা জন্ডিস সারানোর কথা বলে মিরপুরের ভাষানটেক চলে যায়। ওইদিন বিকালে বাদী নূসরাত জাহান তার মোবাইলে ফোন দিলে সে বিকাল ৫টায় আসবে বলে জানায়।
পরে বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও গৃহকর্মী বাসায় ফিরে না আসায় বাদী আবারও তার মোবাইলে ফোন করলে গৃহকর্মী ফোন ধরেনি। পরবর্তী সময়ে গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাদী তার হাত ঘড়ি আলমারিতে রাখার জন্য আলমারি খুলে দেখতে পান আলমারির ড্রয়ারের ভিতরে রাখা মোট ২৮ ভরি ৮ আনা ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালংকার, এমকে ব্রান্ডের ১টি হাত ঘড়ি, ১টি ডায়মন্ডের নাক ফুল এবং নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেই।
বাদীর ধারণা, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ বেলা আনুমানিক দেড়টা থেকে ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার মধ্যে যেকোনো সময় গৃহকর্মী আইরিন আক্তার মুনা কৌশলে বাদীর ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে আলমারির চাবি নিয়ে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরি করে পুনরায় চাবি বাদীর ভ্যানিটি ব্যাগে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়।
তদন্তাধীন এই মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ১৬ অক্টোবর দিবাগত রাত ০২:৫০ টায় বরিশালের গৌরনদী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হোসনাবাদ গ্রাম থেকে গৃহকর্মী আইরিন আক্তার মুনাকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে চুরি হওয়া স্বর্ণালংকারের মধ্যে থেকে ৪ ভরি ১২ আনা ওজনের ৪টি স্বর্ণের চুরি, ৩ ভরি ২ আনা ওজনের ৩ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, ৩ ভরি ৭ আনা ওজনের ৫টি স্বর্ণের চেইন, ৩ ভরি ২ আনা ওজনের ২টি স্বর্ণের নেকলেস, ১৫ আনা ওজনের ২টি স্বর্ণের আংটি, ৩ আনা ওজনের ১টি স্বর্ণের বেবি চেইন; মোট ১৫ ভরি ৯ আনা স্বর্ণালংকার (যার সর্বমোট মূল্য ২২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা) ও স্বর্ণালংকার বিক্রির নগদ ৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আইরিন আক্তার মুনাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং চুরি হওয়া অন্যান্য মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।