সাভারে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে জারা সেতু (১৯) নামে এক তরুণীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ চারজনকে আটক করলেও সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছে।

সোমবার রাতে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত শনিবার রাত দেড়টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ওই তরুণীর লাশ সুরতহাল করার সময় চারজনকে আটক করে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। 

নিহত সেতু সাভারে পৌর এলাকার ছায়াবীথি মহল্লা একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তবে তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। 

আটক তরুণের নাম- আকাশ (২০)।  তিনি সাভার পৌর এলাকার একই মহল্লার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। 

পুলিশ জানায়, গত শনিবার রাতে আকাশ জন্মদিন উপলক্ষে সাভারের আড়াপাড়ায় স্থানীয় ঠান্ডু মোল্লার ৬ তলা ভবনের ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে সেতু আকাশকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে আকাশ উত্তেজিত হয়ে সেতুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। রক্তক্ষরণে সে লুটিয়ে পড়লে তার তিন বন্ধুর সহায়তায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক  সেতুকে  মৃত ঘোষণা করে এবং শেরেবাংলা নগর থানায় খবর দেয়।

শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুসরাত জাহান বলেন, রাত দেড়টার দিকে সাভার থেকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এক তরুণীকে নিয়ে আসে চার যুবক। সেখান সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই চার যুবককে আটক করে থানায় খবর দেয়। পরে হাসপাতালে গিয়ে ওই তরণীর লাশ সুরতহাল করা হয়েছে। ওই তরুণীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও চার যুবককে গত রাতে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে শেরেবাংলা নগর থানা থেকে চারজনকে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করলেও একজনকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দেখিয়ে আটক করে সাভার মডেল থানা পুলিশ । 

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা বলেন, সেতু হত্যার ঘটনায়  হাসপাতাল থেকে চারজনকে শেরে বাংলানগর থানা আটক করে। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় মূল আসামি আকাশকে আটক করা হয়েছে। বাকি সবাইকে মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।