মিরপুরে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৭ পিএম
রাজধানীর মিরপুর এক নম্বর মুক্তবাংলা শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী। তারা মার্কেট ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামীদ জুম্মানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে তার বিচার দাবিতে এ মানববন্ধন করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে মার্কেটটির সামনে জড়ো হয়ে দোকানিরা জুম্মানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা অভিযোগ করেন, দুই দশক ধরে জুম্মান মিরপুর এলাকায় পরিবহনে চাঁদাবাজি, ফুটপাত দখল ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করে আসছে।
মার্কেটটির পাঞ্জাবির দোকানী আফরোজ উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, আব্দুল হামীদ জুম্মান দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগের লোকজন নিয়ে চাঁদা তুলে আসছেন। এতদিন কেউ ভয়ে মুখ খোলার সাহস পেতো না।
অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, একসময় মিরপুর ১ নম্বর এলাকাকেন্দ্রিক বাসের হেলপার ছিলেন মো. আব্দুল হামীদ জুম্মান। তবে রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় প্রভাব খাঁটিয়ে শুরু করেন চাঁদাবাজি। সেজন্য নিজের ছোট ভাই আব্দুর রহিম এবং ছেলে নাজমুল হোসেনকে নিয়ে তৈরি করেছেন চক্র।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্সের বিভিন্ন দোকানিদের কাছ থেকে বিভিন্ন কায়দায় চাঁদা আদায় করে জুম্মান। মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ডের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা দখল করে বসিয়েছেন দোকান। চাঁদাবাজ মুক্ত মার্কেট করতে মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা কমিটি থেকে তার পদ অপসারণ ও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন দোকানিরা। জুম্মান সড়ক ও ফুটপাতে চাঁদাবাজি করে শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতাদের ম্যানেজ করে একসময় প্রভাব খাটালেও রাজনৈতিক ভোল পাল্টে এখনও চাঁদাবাজি করে যাচ্ছেন জুম্মান।
কমপ্লেক্সের সামনে ফুটপাত এবং রাস্তা দখল করে প্রায় পাঁচশ দোকান বসিয়েছেন তিনি। এসব দোকান থেকে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা করে চাঁদা তোলেন। এছাড়াও মার্কেটের স্পেস দখল করেও দোকান ভাড়া দিয়েছেন জুম্মান। এসব দোকান থেকে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা করে চাঁদা তোলা হয়। কোন ব্যবসায়ী চাঁদার টাকা না দিলে গালাগালিসহ গায়ে হাতও তোলা হয়।