সরকার পতন ঘিরে দু’হাজার হিন্দু পরিবারে হামলা, নিহত ৯
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ পিএম
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ ও শারীরিক নির্যাতন ঘিরে ২০১০টি ঘটনা ঘটেছে। এতে ৯ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন সংগঠনের অন্যতম সভাপতি ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, ঊষাতন তালুকদার ও নির্মল রোজারিও, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনেন্দ্র কুমার নাথ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতা উপস্থাপন করে বলা হয়- শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের মধ্যবর্তী সময়কালে দেশের আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে, যা এরপরেও অব্যাহত থাকে। এখনো রয়েছে। এ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে টার্গেট করে সমাজের একশ্রেণির সুযোগ সন্ধানী দুর্বৃত্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, উপাসনালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে। জোরপূর্বক জায়গা-জমি দখল করা হয়েছে। কোথাও কোথাও নারীদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।
এমন ২০১০টি ঘটনায় অন্তত ৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ৬৯টি উপাসনালয় হামলা ভাঙচুর করা হয়েছে। যার জন্য ৪জন নারী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে, ৯১৫টি বাড়িঘর ও ৯৫৩টি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা লুটপাট অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তাছাড়া একটি বাড়ি দখল করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মানবতাবিরোধী সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংস ঘটনাবলীর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত, ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকসহ সংগঠনের অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সারা দেশে চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতার চির অবসান, দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টায় ঢাকাসহ সারা দেশে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।