সপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারও মেট্রোরেলের চলাচল শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এন ছিদ্দিক। শিগগিরই এটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে শুক্রবার মেট্রোরেল চালুর বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে।
সোমবার এ কথা জানিয়ে ছিদ্দিক বলেন, আমরা কাজ করছি। আজকেও আমরা ভিজিটে যাব। আমাদের আরেকটু সময় দিতে হবে। শুক্রবারের পুরো সিস্টেমটা সাজাতে হবে তো। তবে আমরা চালুর বিষয়ে কাজ করছি। আশা করছি, শিগিগিরই চালু করতে পারব।
ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইতোমধ্যে স্টেশন কন্ট্রোলার, ট্রেন অপারেটরসহ অন্যান্য যেসব কর্মীরা কাজ করবেন তাদের ডিউটি রোস্টার তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
সকালের দিকে যাত্রী কম থাকায় শুক্রবার দুপুর তিনটা থেকে রাত পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করার পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এন ছিদ্দিক।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন। এর পর ধাপে ধাপে এমআরটি-৬ লাইনের, উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬টি স্টেশনের সবগুলোই খুলে দেওয়া হয়।
বর্তমানে পিক আওয়ারে প্রতি আট মিনিট পর পর ছাড়ছে মেট্রোরেল। শুরুতে মেট্রোরেলের সাপ্তাহিক ছুটি মঙ্গলবার করা হলেও পরে দিনটি পরিবর্তন করে শুক্রবার নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৮ জুলাই বিকালে বন্ধ হয়ে যায় মেট্রোরেল। পরদিন মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলা চালানো হয় পল্লবী ও ১১ নম্বর স্টেশনে। এরপর থেকেই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর মধ্যে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে ‘বৈষম্যহীন’ বেতন কাঠামোসহ ছয় দাবিতে ৮ আগস্ট থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন মেট্রোরেলের ১০ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা। পরে তারা কাজেও ফেরেন।
এক মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর মেট্রোরেলের চাকা ঘুরতে শুরু করে গত ২৫ আগস্ট থেকে।