Logo
Logo
×

রাজধানী

আন্দোলনরত বসুন্ধরা সিটির ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের দাবিগুলো কী কী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৪, ০৩:২৯ পিএম

আন্দোলনরত বসুন্ধরা সিটির ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের দাবিগুলো কী কী

বসুন্ধরা সিটির ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ, তীব্র যানজট

রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিংমলের দোকান মালিক ও কর্মচারীরা মার্কেটটির ইনচার্জের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। আজ বুধবার সকাল থেকে তারা বসুন্ধরা সিটির সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় তাদেরকে বেশ কিছু দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। 

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পদত্যাগ করেছেন মার্কেটের ইনচার্জ মহসিন করিম।

বসুন্ধরা সিটি শপিংমল ইনচার্জের পদত্যাগ, ব্যবসায়ীদের উল্লাস

বসুন্ধরা সিটির এক মোবাইলফোন দোকানের মালিক বলেন, আগে আমাদের দোকান ছিল শপিংমলটির লেভেল চার ও পাঁচে।  এখন আমাদের সেখান থেকে বেইজমেন্ট এক ও দুইয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে। এটা একদম পার্কিংয়ের স্থানে, যেখানে গাড়ি পার্কিং করা হয়। আগে আমাদের বলা হয়েছিল, ২০০ টাকা প্রতি স্কয়ার ফিট, সেই ভাড়া আড়াই হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই দোকান মালিক আরও বলেন, সর্বনিম্ন এক হাজার ২০০ টাকা ধরলে ২০০ স্কয়ার ফিট দোকানের ভাড়া পড়ছে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা। ভাড়া কমানোর জন্য আমরা ইনচার্জের সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু আমাদের মারধরের হুমকি দেওয়া হয়েছে। 

এমনই প্রেক্ষাপটে বসুন্ধরা সিটির দোকান মালিক ও কর্মচারীরার ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হচ্ছে—

১। ইনচার্জের বদল।

২। চুক্তি অনুযায়ী ভাড়া প্রদান, যেহেতু এখন চুক্তির চেয়ে অধিক ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

৩। বেজমেন্টে দোকান হওয়াতে প্রয়োজনীয় দলিল যেমন ট্রেড লাইসেন্স করতে অসুবিধা হচ্ছে, এর দ্রুত সমাধান।

৪। ব্যবসায়ীদের নিয়ে বণিক সমিতি গঠন করতে হবে।

৫। মার্কেটের যেকোনো সমস্যার জন্য বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ থাকা লাগবে।

৬। সম্পূর্ণ মার্কেটের কোথাও ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার বেশি বর্গফুট দোকান ভাড়া না নেওয়া হলেও বেজমেন্ট ১ ও ২-তে ১৫০০ থেকে সাত হাজার টাকা প্রতি বর্গফুটে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

৭। যেকোনো সমস্যার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিকভাবে না বসে, একপক্ষীয়ভাবে দোকানে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়, সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়, যা ব্যবসায়ে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটায়। এ ধরনের পদক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।

৮। অবৈধভাবে বেজমেন্ট ১ ও ২-তে দোকান নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওয়াশরুম, ক্যান্টিন বা অন্যান্য জরুরি সুবিধা নেই।

৯। মার্কেটের পেছনের গেট বন্ধ থাকায় ব্যবসায়িকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে, যা দ্রুত খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

১০। বেজমেন্টে ভাড়া ও সার্ভিস চার্জ বাড়িয়ে ব্যবসায়িক সময় বাড়ানো হয়েছে রাত ১০টা পর্যন্ত, যা আমাদের কর্মচারীদের জন্য অনেক অসুবিধার কারণ হচ্ছে। ব্যবসায়িক সময় বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত করার দাবি জানাচ্ছি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম