ধানমন্ডির রাস্তায় পাওয়া গাড়িটি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৫৮ পিএম
রাজধানীর ধানমন্ডির বায়তুল আমান মসজিদের সামনে রাস্তায় প্রায় ২ কোটি টাকা দামের বিলাসবহুল একটি গাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। রোববার (১৮ আগস্ট) সকাল থেকে ঢাকা মেট্রো-ঘ ২১-৮৪৫৬ নম্বর প্লেটযুক্ত গাড়িটি সেখানে পড়ে ছিল। পরে মধ্যরাতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় গাড়িটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
দিনরাত চেষ্টার পর কিছু তথ্য ও ছবিতে নিশ্চিত হওয়া গেছে গাড়িটি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারী এক ব্যক্তি গাড়িটি নিয়ে পোস্ট দিলে এর মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। ট্রাফিক অ্যালার্ট নামের একটি গ্রুপে জুনায়েদ কামাল নামের এক ব্যক্তি রাত ১টার দিকে গাড়িটি নিয়ে একটি পোস্টে লেখেন, ‘ধানমন্ডির বায়তুল আমান মসজিদের সামনের দিকের রাস্তায় কেউ একজন ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি ফেলে গেছেন। রোববার সকাল থেকে গাড়িটি এখানে পড়ে আছে, গাড়িটি আনলক অবস্থায় আছে। কেউ কি এর মালিককে চেনেন?’
গাড়িটির মালিকানাধীনের জায়গায় প্রাইভেট উল্লেখ করা হয়েছে। মালিকের নাম লেখা আসাদুজ্জামান খান ও তার বাবা মৃত আশরাফ আলী খান। গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হয় মিরপুর বিআরটিএ-তে।
এ ছাড়া গাড়ি কেনার জন্য করের টিন নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। মালিকের মোবাইল নম্বরও দেওয়া হয়েছে।
গাড়িটি কেনার জন্য মালিকের যে নম্বর দেওয়া হয়েছে, সেটির সূত্র ধরে খুঁজে দেখা যায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নাম।
গাড়িটির বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২২ সালের ৩১ জুলাই গাড়িটি কেনা হয়েছিল। তবে এর রেকর্ড হালনাগাদ করা হয় ২৮ জুলাই। ট্যাক্স টোকেন ইস্যু করা হয় ৩ আগস্ট। যার মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ৩০ জুলাই।
ট্রাস্টি সার্টিফিকেট নেওয়ার তারিখ ২০২৩ সালের ৩ আগস্ট। সেটিরও মেয়াদ ৩ আগস্ট শেষ হয়েছে। ২০২২ সালে ম্যানুফ্যাকচার করার সময় গাড়িটির খালি ওজন ২ হাজার ২০০ কেজি আর মালামাল ৩ হাজার ২২০ কেজি পর্যন্ত তোলা সম্ভব। গাড়িটির ফিটনেস ইস্যু করা হয় ২০২২ সালের ৩১ জুলাই। যার মেয়াদ রয়েছে ২০২৭ সালের ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এ ছাড়া এই গাড়ি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর, সে বিষয় প্রমাণের আরও একটি ছবি পাওয়া গেছে। ছবিতে দেখা যায়, গাড়িটি কেনার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তার সঙ্গে কয়েকজন ছবি তুলছেন। ছবিতে মন্ত্রী ছাড়াও ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হকসহ মন্ত্রীর কয়েকজন কাছের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
তারা গাড়িটি কেনার পর শোরুমে একটি যৌথ ছবিও তোলেন। পাশে গাড়িটি রাখা ছিল। সেটির সামনে লাগানো নম্বরপ্লেটের সঙ্গে উদ্ধার করা গাড়ির নম্বরপ্লেটের মিল রয়েছে।