অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১০ দফা শ্রমিক নেতাদের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০৮:০২ পিএম
‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছরের আওয়ামী দুঃশাসনের অবসান ঘটেছে। এ সময়কালে সবচেয়ে বেশি নিপীড়িত ও বঞ্চিত হয়েছে শ্রমিক শ্রেণি ও মেহনতি জনগণ। সরকারের ভ্রান্তনীতির কারণে একের পর এক পাটকল, চিনিকলসহ বিভিন্ন কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওইসব কারখানা খুলে দিতে হবে এবং অবিলম্বে ছাত্র-জনতাকে হত্যার বিচার করতে হবে।’
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জনসভায় এসব কথা বলেছেন শ্রমিক নেতারা। এ সময় নেতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন।
জনসভায় অংশ নেয় গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন, বিপ্লবী সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ সূতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক ফেডারেশন, চা-শ্রমিকের ১০ দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটি, পাটকল শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ, মৎস্যজীবী ফেডারেশন, নির্মাণ-রংমিস্ত্রি শ্রমিক ফেডারেশন, গার্হস্থ্য শ্রমিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন বেসিক ট্রেড ইউনিয়ন।
অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য দেন- শ্রমিক নেতা জলি তালুকদার, আব্দুল্লাহ কাফি রতন, আব্দুল কুদ্দুস, এসএম শুভ, হযরত আলী, আরিফুল ইসলাম নাদিম ও আক্তার হোসেন প্রমুখ।
জনসভায় অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ বলেন, গত জুলাই মাসে যারা নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপরে হামলা করেছিল, গুলি চালিয়েছিল তারা এখন পালিয়ে গেছে। কিন্তু বাংলার মাটিতে তাদের বিচার অবশ্যই হবে। তাছাড়া শ্রমিকরা চাহিদা অনুযায়ী বেতন-ভাতা না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের সন্তান নিয়ে ঠিকমতো পেটপুরে খেতে পারছে না।’
এ সময় শ্রমিক নেতারা নবগঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১০ দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো- জুলাই গণহত্যায় ছাত্র-শ্রমিকসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। পাটকল-চিনিকলসহ সব বন্ধ কল-কারখানা চালু করতে হবে। চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা করতে হবে। সব শ্রমিকের জন্য রেশনিং ও আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। আউটসোর্সিং নয়, শিল্পপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী নিয়োগ দিতে হবে। হরিজনদের বংশ পরম্পরায় নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। গণতান্ত্রিক শ্রম আইন ও অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার দিতে হবে। গার্মেন্ট শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করতে হবে। বিআরটিএ কর্তৃক ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স প্রদান করতে হবে। চা শ্রমিকদের দৈনিক ন্যূনতম মজুরি ৫০০ টাকা করতে হবে। ভূমি মালিকানা নিশ্চিত করতে হবে। পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ করা যাবে না।