উত্তরায় পতাকা হাতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা
উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম
চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হত্যার বিচার ও মামলা প্রত্যাহারসহ ৯ দফা দাবিতে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় পতাকা হাতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সমাজ।
শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উত্তরার বিএনএস সেন্টার সংলগ্ন ৭ নম্বর সেক্টরের ৮নং রোডের সামনে অবস্থান করেন তারা। এসময় প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও শিক্ষক প্রতিনিধিরা প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সরকারের অবস্থান ও কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা এবং প্রতিবাদ জানান।
কর্মসূচিতে নিজ সন্তানের জীবনের নিরাপত্তায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এক অভিভাবক বলেন, আমাদের ট্যাক্সের টাকায় কেনা গুলি আমাদের সন্তানদের বুকে আমরা দেখতে চাই না। আর একটি গুলিও যেন পুলিশ না চালায়। পরিস্থিতি এমন যে, এখন আমরা আর ঘরে বসে থাকতে পারি না।
উপস্থিত সাংবাদিকদের দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক নারী অভিভাবক বলেন, সরকার যা করছে সেটা আমরা মেনে নিতে পারি না। আমি যদি সরকারের সমালোচনা করি তখন যদি আমাকে রাজাকারের ট্যাগ পেতে হয় কিংবা জামাত-বিএনপির ট্যাগ নিতে হয় এটা আমি মানব না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক অভিভাবক জানায়, সরকার মানুষের পালস বুঝে না। মানুষ কী চায়? কথায় কথায় মানুষকে রাজাকার, বিএনপি-জামাত ট্যাগ দিয়ে দেবে- এসব মানুষ আর সহ্য করবে না। মানুষ এগুলো আর মানতে চায় না। আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। আমি খারাপকে, সাদাকে সাদা-কালোকে কালো বলতে চাই।
মায়ের সঙ্গে কর্মসূচিতে আসা ইস্পিতা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের শিক্ষক-অভিভাবকরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন। একটা বাচ্চার মাথায় গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি এখনও মা হইনি তবে আমি শিশুদের মৃত্যু সহ্য করতে পারি না। কারণ আমি মানুষ। ফিলিস্তিনের যেই অবস্থা, আমি চাই না আমার দেশের সেই সিচুয়েশন হোক।
এসময় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে সমস্বরে জাতীয় সংগীত পাঠ করেন।