সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলগুলোতে গণসংযোগ করেছে আন্দোলনকারীরা।

শনিবার বিকাল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে একটি বিক্ষোভ শুরু হয়ে আবাসিক হলগুলোতে গণসংযোগ শেষে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এসে শেষ হয়। রোববার ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধের প্রস্তুতি হিসেবে শনিবারের এ কর্মসূচি বলে উল্লেখ করেন তারা। 

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে, ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করতে হবে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, আজকে আমরা প্রায় সব আবাসিক হলে গণসংযোগ করেছি। আগামীকাল আমরা বিকাল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করবো। দাবি আদায় না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচির দিকে যাব। প্রয়োজনে পুরো দেশ অচল করে দেওয়া হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য-সচিব মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, আমাদের আন্দোলন সাধারণ মানুষের, গণমানুষের আন্দোলন। এখানে কোনো নির্দিষ্ট দলের শিক্ষার্থীরা আসেননি। যারা এসেছেন সবাই সাধারণ শিক্ষার্থী। এছাড়াও যারা আজকের প্রোগ্রামে আসতে পারেননি তাদেরকে এ যৌক্তিক আন্দোলনে আহ্বান করছি, আপনারা হলের রিডিং রুমে বসে না থেকে আন্দোলনে যুক্ত হোন। আগামীকাল পুনরায় আমরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করবো। প্রয়োজনে সমগ্র দেশ অচল করে দিব। আপনারা ক্ষান্ত হবেন না।

পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে তিনি বলেন, রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরী গেট) সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক বিকাল তিনটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত অবরোধ করা হবে।