ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক যেন আবর্জনার ভাগাড়
যুগান্তর প্রতিবেদন, ঢাকা উত্তর
প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৪, ০৯:৫২ পিএম
সাভার, আশুলিয়া ও ঢাকার ধামরাইয়ে মহাসড়কগুলো যেন আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি জেনেও কল-কারখানা ও গৃহস্থালির বর্জ্য অবাধে ফেলা হচ্ছে মহাসড়কগুলোর পাশে। এসব সড়কে চলাচলের সময় দুর্গন্ধে টেকা দায়। নাকে রুমাল গোঁজার পরও দুর্গন্ধে নাড়িভুড়ি উলটে আসতে চায়।
এ ব্যাপারে সাভার পৌরসভা মেয়র আবদুল গণির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, সড়কের ওপর থেকে ময়লা সরানোর কাজ তার নয়। তবে পৌরসভার এক কর্মকর্তা বলেন, মহাসড়কের ময়লা সরানোর নির্দেশ দেওয়ার দায়িত্ব পৌর মেয়রেরই। তিনি যেভাবে নির্দেশ দেন, সেভাবেই ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়। তবে স্থানীয়রা জানান, যেসব এলাকা থেকে টাকা দেওয়া হয়, কেবল সেসব এলাকার ময়লা ফেলার নির্দেশ দিয়ে থাকেন মেয়র।
আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড় পৌরসভা সাভার। এখানে পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এখনো গড়ে ওঠেনি। নেই আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশন। পুরো শহরই বলতে গেলে অপরিচ্ছন্ন। আমিনবাজার, হেমায়েতপুর ও রাজফুলবাড়িয়া পার হলেই সাভার পৌরসভা এলাকা। সড়কের দুইপাশে কিছু দূর পরপর দেখা মিলবে ময়লা-আবর্জনা স্তূপের। এই ময়লা-আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার না করায় দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সাভারবাসী।
সাভারের ঢাকা-আরিচা, ধামরাই ও নবীনগর-চন্দ্রা ও আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল মহাসড়কের পাশে অর্ধশতাধিক ময়লার ভাগাড় গড়ে উঠেছে। দিন যতই যাচ্ছে মহাসড়কের দুই পাশে ময়লার স্তূপ তত বড় হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিন সকালে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও বিভিন্ন বাসাবাড়ির লোকজন বিভিন্ন এলাকা, মার্কেট ও মহল্লা থেকে ময়লা-আবর্জনা এনে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের পাশে ফেলছে। পাশে হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজার, আবাসিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থাকলেও এটা নিয়ে পৌরসভার সংশ্লিষ্টদের মাথাব্যথা নেই।