Logo
Logo
×

রাজধানী

ঢাকার পানিতে মিলল ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ০৯:৪৬ পিএম

ঢাকার পানিতে মিলল ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান

ফাইল ছবি

ঢাকার নদী ও কলের পানিতে পিএফএএস বা ‘চিরকালের রাসায়নিক’ এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। 

এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এবং আন্তর্জাতিক দূষণকারী নির্মূল নেটওয়ার্ক (আইপিইএন) এর যৌথ গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। 

পিএফএএস বা পার-অ্যান্ড পলি-ফ্লুরোঅ্যালকাইল ‘চিরকালের রাসায়নিক’ নামে পরিচিত। কারণ, এটি দীর্ঘসময় পরিবেশে স্থায়ী হয়। এ রাসায়নিক পদার্থটি পানি, তেল এবং দাগ প্রতিরোধ করতে পারে বলে শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত হয়।

গবেষণার জন্য ২০১৯ ও ২০২২ সালে ঢাকার মোট ৮টি এলাকা থেকে ৩১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। 

ফাঁসি হয় হোক, সব বলে দেব: আমানুল্লাহ

এরমধ্যে ২৭টি (৮৭ শতাংশ) নমুনার পৃষ্ঠ থেকে সংগৃহীত পানিতে পিএফএএসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। 

যার মধ্যে ১৮টি নমুনায় (৫৮ শতাংশ) বিশ্বব্যাপী নিষিদ্ধ এক বা একাধিক পিএফএএস রাসায়নিক পিএফওএ, পিএফওএস এবং পিএফএইচএক্সএস এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। 

আর ১৯টি নমুনায় (৬১ শতাংশ) পিএফএএস এর মাত্রা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্ধারিত মাত্রা (নিয়ন্ত্রিত পরিমাণ) অতিক্রম করেছে।

গবেষকরা বলছেন, একটি নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণে এ ধরনের রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসলে ক্যানসারসহ নবজাতকদের মধ্যে জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে।

থাইরয়েডের হরমোনের কার্যক্রমও ব্যাহত হতে পারে। কিছু রাসায়নিক বিশ্বব্যাপী নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আবার কিছু রাসায়নিক নিষিদ্ধ করার জন্য পর্যালোচনা চলছে।

বাংলাদেশে ইএসডিও-এর নির্বাহী পরিচালক সিদ্দিকা সুলতানা বলেন, বাংলাদেশ একটি আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল উৎপাদন কেন্দ্র এবং এই খাত থেকে বিষাক্ত রাসায়নিক নির্গমনের প্রবণতা বাসিন্দাদের উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। 

২০১৯ সালে সাভারের কর্ণতলী নদীতে পিএফএএস রাসায়নিকের মাত্রা প্রস্তাবিত ইউ সীমার ৩০০ গুণেরও বেশি ছিল। নমুনাটিতে দুটি নিষিদ্ধ পিএফএএস রাসায়নিক সর্বোচ্চ মাত্রায় পাওয়া গেছে। বর্তমানে নির্ধারিত ডাচ নিরাপদ সীমার চেয়ে এগুলোর মাত্রা এক হাজার ৭০০ থেকে ৫৪ হাজার গুণ বেশি ছিল।

২০২২ সালে হাতিরঝিল লেক থেকে সংগৃহীত আরেকটি নমুনাতে পিএফওএ এবং পিএফওএএস উভয় রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যা বর্তমানে নির্ধারিত ডাচ নিরাপদ সীমার ১৮৫ গুণ বেশি। 

এ ছাড়া ২০১৯ সালে সংগৃহীত চারটি কলের পানির নমুনার মধ্যে তিনটিতে পিএফএএস পাওয়া গেছে এবং খাবার পানির জন্য ইউএস নির্ধারিত পিএফওএ মাত্রা থেকেও বেশি পরিমাণে রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম