বেরাইদ গণপাঠাগারে সুকান্ত স্মরণে গ্রন্থপাঠ ও আলোচনা সভা
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ০৭:০৯ পিএম
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের আয়োজনে, বেরাইদ গণপাঠাগারের (বেগপা) ব্যবস্থাপনায় কবি সুকান্ত স্মারণে গ্রন্থপাঠ ও আলোচনা সভা শনিবার ঢাকা উত্তর সিটির ৪২নং ওয়ার্ডে গণপাঠাগার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সহযোগিতায় ও অংশগ্রহণে ছিল ঢাকা মহানগর এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও প্রাবন্ধিক এবং জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর।
অতিথি ছিলেন সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ সরকারি কর্ম-কমিশনের সদস্য কবি আসাদ মান্নান। মূল আলোচক ছিলেন সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ মোরশেদ শফিউল হাসান। আলোচনায় অংশ নেন একেএম রহমত উল্লাহ কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান জুলহাস প্রামাণিক এবং বেরাইদ মুসলিম হাইস্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক মির্জা লুৎফর রহমান। সঞ্চালনা করেন বেগপা সভাপতি ও গ্রন্থাগার সংগঠক এমদাদ হোসেন ভূঁইয়া।
মূল আলোচক মোরশেদ শফিউল হাসান তার নিবন্ধে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের জীবন, কর্ম ও দর্শন তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সুকান্ত ভট্টাচার্য ছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রগতিশীল চেতনার অধিকারী ক্ষণজন্মা কবি। তার জন্ম ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোলকাতার কালীঘাটে মাতুলালয়ে। তার পৈতৃক নিবাস ছিল বর্তমান বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ায়। তার বাবা নিবারণ চন্দ্র ভট্টাচার্য কোলকাতায় বইয়ের ব্যবসা করতেন। মা সুনীতি দেবী ছিলেন গৃহিণী।
আলোচক সহকারী অধ্যাপক জুলহাস প্রামাণিক বলেন, সুকান্ত ১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট জন্মগ্রহন করেন। তার উল্লেখযোগ্য সহিত্যকর্ম- ছাড়পত্র (১৯৪৭), পূর্বাভাস (১৯৫০), মিঠেকড়া (১৯৫১), অভিযান (১৯৫৩), ঘুম নেই (১৯৫৪), হরতাল (১৯৬২), গীতি গুচ্ছ (১৯৬৫) ইত্যাদি।
শিক্ষাবিদ মির্জা লুৎফর রহমান বলেন, সুকান্তের জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে কোলকাতার বেলেঘাটার ৩৪ হরমোহন ঘোষ লেনের বাড়িতে। সেই বাড়িটি এখনো অক্ষত আছে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এতে সুকান্তর কবিতা থেকে আবৃত্তি, সংগীত ও নাচ পরিবেশন করেন পাঠাগার সদস্যরা। এরপর বেরাইদ গণপাঠাগারের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের সভাপতি মিনার মনসুর, সম্মানিত অতিথি আসাদ মান্নান ও মূল আলোচক মোরশেদ শফিউল হাসানকে ‘গ্রন্থাগার সুহৃদ’ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। দনিয়া পাঠাগার সভাপতি মোহাম্মদ শাহনেওয়াজকে ২০২৩ সালের ‘সেরা গ্রন্থাগার সংগঠক’ ঘোষণা করে তার হাতেও সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। বেরাইদ গণপাঠাগারের সেরা পাঠকদের হাতে সনদ তুলে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি।
অন্যদের মধ্যে জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মো. ইনামুল হক ও ঢাকা মহানগর এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহের প্রতিনিধিরা উপস্থত ছিলেন।