Logo
Logo
×

রাজধানী

ব্যবস্থা না নিয়ে উলটো ভুক্তভোগীদের বের করে দিলেন ওসি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৪, ১০:১০ পিএম

ব্যবস্থা না নিয়ে উলটো ভুক্তভোগীদের বের করে দিলেন ওসি

রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন এক বৃদ্ধ ও তার পরিবারের সদস্যরা। ১৫ মে দুপুরে হাজারীবাগ গজমহল পুরান থানার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ১০ দিন পার হলেও মামলা নেয়নি হাজারীবাগ থানা পুলিশ। 

তবে এ ঘটনায় ২২ মে সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী পরিবারকে থানায় ডেকে নেন অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবুল কালাম আজাদ। এরপর হামলাকারীদের সামনে তাদের পক্ষ নিয়ে ভূক্তভোগীদেরকে ওসি তার রুম থেকে ধমকিয়ে বের করে দেন। 

জানা যায়, ওইদিন মারধরের ঘটনায় আহত হন- বাবুল (৭০), আমেনা বেগম (৫৫) ও সুজন (২৬)।

ঘটনার ৪দিন পর লিখিত অভিযোগ নিলেও ১০ দিন পার হয়েছে। এখন কোন ব্যবস্থা নেয়নি হাজারীবাগ থানা পুলিশ। উলটো হামলাকারীদের পক্ষে সাফাই গেয়ে ভ‚ক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের রুম থেকে ধমকে বের করে দেন হাজারীবাগ থানার ওসি। 

আমেনা বেগম জানান, মকবুল ও তার ভাই সুজন সবসময় আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ব্যবসা করে আবার পরিশোধ করে দিতেন। দেড় বছর আগে তার ছোটভাই সুজনের মাধ্যমে ৩ লাখ টাকা ধার নেন মকবুল। দেড় মাস পর টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও দেড় বছর কেটে গেছে। ১৫ মে স্পি­ট চামড়া ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির নির্বাচনে মকবুল ও সুজন ভোট দিতে আসেন। এসময় পাওনা চাইতে গেলে আমার স্বামীকে মকবুল, তার ভাইসহ কয়েকজন মিলে মারধর করেন। খবর পেয়ে ছেলে ও আমি ঘটনাস্থলে গেলে আমাদেরও মারধর করেন।

আমেনা আরও জানান, ২২ মে সন্ধ্যায় এসআই আবুল কালাম আজাদ আমাদের থানায় ডেকে নেন। সেখানে গিয়ে দেখি, আমাদেরতে যারা মারধর করেছিল সেই মকবুল, রসুল, সামসু, খোরশেদ, হাসান, মারফ ও মাহফুজ ওসির রুমে গল্প করছেন। ওই সময় আমার স্বামী, বড় ছেলে ও মেয়ে রুমে প্রবেশ করার পর আমি কথা বলতে চাইলে ওসি আমাকে ধমক দিয়ে তার রুম থেকে বের করে দেন।

এ বিষয়ে হাজারীবাগ থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, উভয়পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছিল। যেহেতু টাকা পয়সা নিয়ে বিষয়টি, এজন্য তাদেরকে সমাধানের জন্য বলি। ভুক্তভোগীরা যদি বলত আমরা মারধরের বিচার চাই। তাহলে কে মেরেছে, কখন মারা হয়েছে, কাদের সামনে মারা হয়েছে এসব বিষয় তদন্ত করে আমরা ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ডিএমপি রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আবু তালেব জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। খবর নিয়ে বিস্তারিত জানব।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম