জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে আবুল ফজল গ্রন্থপাঠ কার্যক্রম
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ মে ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
সাহিত্যিক আবুল ফজল স্মরণে মাসব্যাপী গ্রন্থপাঠ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র। এ কার্যক্রমে ঢাকা মহানগর ও আশপাশের ২১টি বেসরকারি গ্রন্থাগারের ২শ পাঠক অংশগ্রহণ করবেন।
এ উপলক্ষে গ্রন্থাগার প্রতিনিধিদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুর। সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রের গ্রন্থাগারিক ও উপ-পরিচালক মো. ফরিদ উদ্দিন সরকার, ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সহকারী পরিচালক ইনামুল হক।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন- গ্রন্থসুহৃদ এমদাদ হোসেন ভূঁইয়া, শাহনেওয়াজ, মো. জহির উদ্দিন, কাজী সুলতান আহমেদ টোকন, এহতেশাম খান সিদ্দিকী, তারেক-উজ-জামান ও ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন কেন্দ্রের ফিল্ড অফিসার আফসানা আক্তার।
উল্লেখ্য, পাঠের জন্য বাছাই করা হয়েছে সাহিত্যিক আবুল ফজল রচিত বই, ‘মৃতের আত্মহত্যা’।
কর্মশালায় সভাপতির বক্তৃতায় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি মিনার মনসুর বলেন, সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষের বিকল্প নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সেই সোনার মানুষ তৈরির স্বপ্ন দেখে গেছেন। সেই সোনার মানুষ গড়ার প্রত্যয়ে বইবান্ধব সমাজ গঠনের লক্ষ্যে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র বেসরকারি গ্রন্থাগারের পাঠক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দেশব্যাপী পাঠ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া সৃজনশীল গ্রন্থপাঠে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষে ও বিশিষ্ট কবি/সাহিত্যিক/বিশিষ্টজন স্মরণে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র নিয়মিত বিভিন্ন ধরণের পাঠ কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে।
ইতোমধ্যে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে গ্রন্থপাঠ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে। এছাড়া কালজয়ী কথাসাহিত্যিক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, কবি শামসুর রাহমান, কবি জীবনানন্দ দাশ, রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, সাহিত্যিক হাসান হাফিজুর রহমান, আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ স্মরণের অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তারই অংশ হিসেবে সাহিত্যিক আবুল ফজল স্মরণে মাসব্যাপী গ্রন্থপাঠ কার্যক্রম সফল করতে এই কর্মশালা।
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে চূড়ান্ত পর্বে ২০ প্রতিযোগী অংশ নেবে। শীর্ষ ৫ জনের প্রত্যেককে পুরস্কার হিসেবে আড়াই হাজার টাকা, আড়াইহাজার টাকা মূল্যমানের বই ও জাতীয় সনদ প্রদান করা হবে। এছাড়া মূল্যায়ন পর্বের অবশিষ্ট ১৫ জনের প্রত্যেককে বই ও সনদ দেওয়া হবে।
অংশগ্রহণকারী গ্রন্থাগারগুলো হচ্ছে: বেরাইদ গণপাঠাগার, দনিয়া পাঠাগার, মুকুল ফৌজ পাঠাগার, সীমান্ত পাঠাগার, গ্রন্থবিতান, বুকল্যান্ড লাইব্রেরি, কামাল স্মৃতি পাঠাগার, তাহমিনা ইকবাল পাবলিক লাইব্রেরি, উত্তরা পাবলিক লাইব্রেরি, গোলাম আবেদীন মাস্টার ও রেফাতুন্নেছা গ্রন্থাগার, শহীদ বাকী স্মৃতি পাঠাগার, আলোকবর্তিকা গ্রন্থাগার, অনির্বাণ পাঠাগার, রহমান মাস্টার স্মৃতি পাঠাগার, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি পাঠাগার, মুক্তি গণপাঠাগার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আওয়াল পাবলিক লাইব্রেরি, সুলপিনা আদর্শ পাঠাগার ও সমাজকল্যাণ সংস্থা, সৃষ্টি পাঠোদ্যান, জ্ঞানবীক্ষণ পাঠাগার ও মতি মাস্টার স্মৃতি পাঠাগার।