রাজধানীতে প্রকাশ্যে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে সর্বস্ব লুট
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫২ পিএম
প্রতীকী ছবি
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন মো. ইকবাল হোসেন (৩৮) নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। তাকে দিনদুপুরে প্রকাশ্যে বেদম মারধর করে সঙ্গে থাকা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ দুই লাখ টাকা ও মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি মোল্লাব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাকে আহত অবস্থায় পথচারীরা উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু তার পায়ের হাড় ভেঙে যাওয়ায় সন্ধ্যায় রাজধানীর শ্যামলীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে। আহত ইকবালের বাসা মৃধাবাড়ি প্রতিবাদী ক্লাব সংলগ্ন এলাকায়। তার বাবার নাম মোস্তাক আহমেদ।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে আহত হয়ে এক জুয়েলারি (স্বর্ণ) ব্যবসায়ী ঢামেক হাসপাতালে এসেছেন। তার দুই পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অবগত করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় ডিএমপির ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মধুসূদন দাস যুগান্তরকে বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন না। খোঁজ নিয়ে দেখছেন।
শনিবার বিকালে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, আহত ইকবাল হোসেনের দুই পায়ের হাঁটুর নিচে ও হাতের কনুইয়ের নিচে ব্যান্ডেজ করা। এ ছাড়া চোখে মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি যুগান্তরকে জানান, সবুজবাগের রাজারবাগ বৌদ্ধ মন্দির এলাকায় সামির গোল্ড হাউস নামে একটি দোকান রয়েছে তার। শনিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার দিকে তিনি মোটরসাইকেল চালিয়ে দোকানের উদ্দেশে রওনা হন। মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি মোল্লাব্রিজ এলাকায় ছিনতাইকারীরা তার গতিরোধ করে। একই এলাকার বখাটে ও ছিনতাইকারী ইউসুফ, মুলহাজ, পাভেল, দিপুসহ ৬-৭ জন তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাকে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে কাছে থাকা ব্যাগটি নিয়ে যায়। ব্যাগের ভেতর নগদ দুই লাখ ২০ হাজার টাকা ও সাড়ে পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিল বলে জানান তিনি। মোটরসাইকেলসহ সবই নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা।
তিনি আরও জানান, টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নেওয়ার সময় বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে রড দিয়ে তার দুই পায়ে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। রক্তাক্ত অবস্থায় সড়কে পড়ে থাকলে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে স্বজনদের খবর দেওয়া হলে দুপুর দুইটার দিকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসে।
শনিবার সন্ধ্যায় ইকবালের ছোট ভাই ইকরাম ফোনে যুগান্তরকে বলেন, পায়ের হাড় একাধিক স্থানে ভেঙে যাওয়ায় ঢাকা মেডিকেল থেকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আমরা এখন পঙ্গু হাসপাতালে আছি। ভাইয়ের অবস্থা ভালো না। তার বুকে এবং পিঠেও চরম আঘাত করেছে। ছিনতাইকারীরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী বলে জানান তিনি।
ইকবাল বলেন, ফোনে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা হয়েছে ভাইয়ের। এ বিষয়ে অভিযোগ করা হবে।