Logo
Logo
×

রাজধানী

তিতাসের এমডির বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে দারোয়ান আহত, এলাকায় আতঙ্ক

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৬ পিএম

তিতাসের এমডির বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে দারোয়ান আহত, এলাকায় আতঙ্ক

রাজধানীর আদাবরে নবোদয় হাউজিং এলাকায় তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ওই বাসায় থাকা বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৬টায় আদাবরের নবোদয় হাউজিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নবোদয় হাউজিং এলাকার মুক্তাগাছা ভবনটিতে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ বাসায় তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। 

স্থানীয়রা জানান, আজ (বুধবার) সকাল ৭টার দিকে একটি মোটরসাইকেল এসে নবোদয় খাল পাড়ে রানা বেকারির পাশে মুক্তাগাছা ভবনের সামনে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় প্রায় তিন থেকে চারটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। ককটেলের শব্দ শুনে আশপাশের ভবন ও বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ককটেলের শব্দে অনেকে এ সময় ঘুম থেকে ওঠে বাসার নিচে চলে আসেন। এ ঘটনায় পুরো এলাকার বাসিন্দারা এখনো আতঙ্কে রয়েছেন।

যুগান্তরের হাতে আসা একটি সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়, নবোদয় শাহী মসজিদ খালপাড়ের ব্রিজের ওপর সকাল ৬টা ১০ মিনিটে সুজুকি জিক্সার ব্রান্ডের একটি মোটরসাইকেলে করে পরনে জিন্স প্যান্ট ও জিন্সের শার্ট পড়া দুইজন এসে থেমে মোটরসাইকেলটি রেখে হেলমেট হাতে নিয়ে যায়। এ সময় দুইজনের মুখেই মাক্স পরা ছিল। এরপর একজন হেলমেট হাতে নিয়ে ৬টা ১৮ মিনিটের দিকে মুক্তাগাছা ভবনটির সামনে গিয়ে ককটেল ছুড়ে মারে। ককটেল দুটি বিস্ফোরণ করে দ্রুত মোটরসাইকেলে করে দুইজন পালিয়ে যায়। 

ককটেল বিস্ফোরণ হওয়া মুক্তাগাছা ভবনটির দারোয়ান নাজমুল জানান, সকাল বেলা আমি বাড়ির সামনে গাছে পানি দিচ্ছিলাম। হঠাৎ করে পিছনে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ হওয়ায় আমি দৌড় দেই। তখন ককটেলের স্প্লিন্টারে আমার পেট কেটে যায়। আমি জীবন বাঁচাতে বাড়ির ভেতরে দৌড় দিয়ে লুকিয়ে যাই। 

এছাড়া পাশের সেলুনের মালিক জনি জানান, আমি খবর পেয়ে দ্রুত দোকানে আসি। এসে আমার দোকানের সাঁটার খুলে দেখি দোকানের ভেতর প্রচণ্ড ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে আছে। 

পাশের আরেক চা দোকানি জাবেদ জানান, ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনে আমি দৌড়ে আসি। দৌড়ে এসে আমার দোকানের সাঁটার খুলে দেখি পুরো দোকানে ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে গেছে। এছাড়া আমার দোকানের ভেতর অনেক মালামাল নিচে পড়ে গেছে। 

এ ঘটনায় আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় আমরা সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি৷ তবে এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। এছাড়া এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ না করায় থানায় কোনো মামলা করা হয়নি।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম