এক ছাদের নিচে সব ব্র্যান্ড ও উন্নতমানের পণ্য মেলায় রোজার শুরু থেকেই দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কে ক্রেতার ভিড় লক্ষ করা গেছে। শেষ সময়ে এ ভিড় আরও বেড়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতা ব্যস্ত সময় পার করছেন। সব মিলে কেনাকাটায় এখন সরগরম যমুনা ফিউচার পার্ক। শনিবার শপিংমল ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুবিশাল এ শপিংমলে ভিড় থাকলেও গরমে রোজা রেখে ঈদ কেনাকাটায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতা। ভোগান্তি ছাড়াই কিনছেন পছন্দসই পণ্য। এদিন সকাল থেকেই শপিংমলে আসতে থাকেন ক্রেতারা। বিকাল নাগাদ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। সন্ধ্যায় অনেকে শপিংমলের ফুডকোর্টে ইফতার সেরে আবার কেনাকাটায় মেতে ওঠেন।
এছাড়া ইফতার শেষে ফের ঢল নামে আস্থার শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কে। মধ্যরাত পর্যন্ত চলে কেনাকাটা। এ সময় যমুনা ফিউচার পার্কের মেট্রো ফ্যাশন, দেশের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড হুর, ইনফিনিটি, কে ক্রাফট, অঞ্জনস, আড়ং, জিন্স অ্যান্ড কোম্পানি, টুয়েলভ, রেড, জেন্টল পার্ক, টিন’স ক্লাব, প্লাস পয়েন্ট, কান্ট্রি বয়, রেঞ্জ, সিক্স লাইফ স্টাইল, লা রিভ, আর্টিসান, টপ টেন মার্ট পোশাকের ব্র্যান্ড ও শপগুলোতে প্রচুর ক্রেতা সমাগম দেখা যায়।
এদিকে যমুনা ফিউচার পার্কে ঈদ কেনাকাটায় আকর্ষণীয় ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে স্বনামধন্য শিল্পগোষ্ঠী যমুনা গ্রুপ। শপিংমলের যে কোনো শোরুম থেকে ন্যূনতম ৫০০ টাকার পণ্য কিনলেই পুরস্কার জেতার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতা। লটারিতে প্রতিদিনই স্বর্ণ, মোটরসাইকেল, টিভি, ফ্রিজ, ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক পণ্যসহ নানা আকর্ষণীয় ও নিশ্চিত পুরস্কার পেয়ে হাসিমুখে তারা বাড়ি ফিরছেন। এতে ক্রেতাদের ঈদ আনন্দে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। আর এ ক্যাম্পেইন চলবে চাঁদরাত পর্যন্ত। ক্রেতারা যাতে সহজে উপহার পেতে পারেন সেজন্য শপিংমলের সেন্টার কোর্টে গিফটের পৃথক বুথ করা হয়েছে। পণ্য কেনার রসিদ নিয়ে সেখানে থাকা কিউআর কোড অথবা gift.jamuna.info এ তথ্য দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপহার জিতলে বুথ থেকে সংগ্রহ করতে পারছেন। শনিবারও এ আয়োজনে উপহারসামগ্রী তুলে দিয়েছেন যমুনা ফিউচার পার্ক কর্তৃপক্ষ।
টুয়েলভ শোরুমে কথা হয় ক্রেতা তানিয়ার সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে বলেন, যমুনা ফিউচার পার্কের টুয়েলভসহ অন্যান্য একাধিক শোরুমে ঈদ উপলক্ষ্যে ছাড় দিয়েছে। এতে অনেক ভালো হয়েছে। যেখানে একটি পোশাক কিনতে পারতাম, সেখানে দুটি কিনতে পারছি। এছাড়া আমি একটি পোশাক কিনে কোটি টাকার ঈদ উপহার আয়োজনে একটি ব্লেন্ডারও পেয়েছি। সব মিলে খুব ভালো লাগছে।
এস্টোরিয়ন শোরুমে কথা হয় মো. হাবিবের সঙ্গে। তিনি বলেন, এ শপিংমল মানুষের আস্থার জায়গা। কারণ এখানে সবকিছু সহজেই পাওয়া যায়। দামও হাতের নাগালে। এক শপিংমল থেকে সব কিছু কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরা যায়। সব আছে এক ছাদের নিচে। কাঁচাবাজার দরকার হলেও এখান থেকে করা যাচ্ছে। সব মিলে এই শপিংমল আমার পছন্দে সবার উপরে।
অঞ্জন্স শোরুমে কথা হয় লাবণীর সঙ্গে। তিনি বলেন, পরিবারের সবার জন্য জামাকাপড় কেনা শেষ। এবার জুতার শোরুমে যাব। সেখান থেকে কেনাকাটার পর এখানে ইফতার করে আবার সন্ধ্যায় অন্য কিছু কেনাকাটা করব।
যমুনা বিল্ডার্সের পরিচালক (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) ড. আলমগীর আলম বলেন, যমুনা ফিউচার পার্কে ক্রেতারা দেশি বিদেশি সব ব্র্যান্ড একই ছাতার নিচে পাচ্ছেন। প্রথম থেকেই এখানের ব্যবসায়ীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা করছেন। সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছেন। ক্রেতারাও ভালো মানের পণ্য পাচ্ছেন। এজন্য সবার পছন্দের শীর্ষে এখন যমুনা ফিউচার পার্ক। তাই সবাইকে দক্ষিণ এশিয়ার এ সর্ববৃহৎ শপিংমলে এসে ঈদ কেনাকাটা করতে স্বাগত জানাচ্ছি।
কোটি টাকার ঈদ উপহার : শনিবার যারা উপহার পেয়েছেন তাদের মধ্যে এলইডি টিভি পেয়েছেন মো. সাকিব। রাইস কুকার পেয়েছেন তানিয়া আক্তার, মো. পারভেজ আহমেদ, মো. ইউসুফ। ব্লেন্ডার অ্যান্ড জুসার পেয়েছেন মো. হোসাইন, মো. অনিক, মো. রশেদুজ্জামান, মো. হৃদয়। ইলেকট্রিক কেটলি পেয়েছেন ফারজানা আক্তার, মো. রাসেল, মো. মাহমুদুল দুর্জয়, মো. ইমন, মো. রিজভি, মো. আলভি, মো. আসাদুল ইসলাম, মো. হৃদয়। ড্রাই আয়রন পেয়েছেন মো. মেহেদি, মো. শরিফুল, মো. জাহেদ প্রমুখ।