Logo
Logo
×

রাজধানী

যমুনা ফিউচার পার্কে ঈদের কেনাকাটায় স্বস্তি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৩ পিএম

যমুনা ফিউচার পার্কে ঈদের কেনাকাটায় স্বস্তি

রোজার শুরু থেকেই সরগরম দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক। শেষ সময়ে আরও বেশি জমজমাট হয়ে উঠেছে। শপিংমলে দেশি-বিদেশি সব ব্র্যান্ড একসঙ্গে থাকায় সকাল থেকেই ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। তবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সুবিশাল এই শপিংমলে ভিড় থাকলেও রোজা রেখে ঈদ কেনাকাটায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। আর একই ছাদের নিচে উন্নতমানের সব ব্র্যান্ড একসঙ্গে থাকায় ভোগান্তি ছাড়াই কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা। 

বৃহস্পতিবার শপিংমল ঘুরে ক্রেতা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

এদিন সকাল থেকেই শপিংমলে আসতে থাকেন ক্রেতারা। বিক্রেতারা পোশাক থেকে শুরু করে অন্যান্য পণ্য বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করেন। বিকালনাগাদ লোকে-লোকারণ্য হয় চারপাশ। সন্ধ্যায় অনেকে শপিংমলের ফুডকোর্টে ইফতার সেরে আবার কেনাকাটায় মেতে ওঠেন। 

এছাড়া ইফতার শেষে আবার ঢল নামে আস্থার শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কে। মধ্যরাত পর্যন্ত চলে কেনাকাটা। এ সময় যমুনা ফিউচার পার্কের মেট্রো ফ্যাশন, দেশের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড হুর, ইনফিনিটি, কে ক্রাফট, অঞ্জনস, আড়ং, জিন্স অ্যান্ড কোম্পানি, টুয়েলভ, রেড, জেন্টল পার্ক, টিনস ক্লাব, প্লাস পয়েন্ট, কান্ট্রি বয়, রেঞ্জ, সিক্স লাইফ স্টাইল, লা রিভ, আর্টিসান, টপ টেন মার্ট পোশাকের ব্র্যান্ড ও শপগুলোতে প্রচুর ক্রেতা সমাগম দেখা যায়।

এদিকে যমুনা ফিউচার পার্কে ঈদ কেনাকাটায় আকর্ষণীয় ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে স্বনামধন্য শিল্পগোষ্ঠী যমুনা গ্রুপ। শপিংমলের যে কোনো শোরুম থেকে ন্যূনতম ৫০০ টাকার পণ্য কিনলেই পুরস্কার জেতার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতা। লটারিতে প্রতিদিনই স্বর্ণ, মোটরসাইকেল, টিভি, ফ্রিজ, ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক পণ্যসহ নানা আকর্ষণীয় ও নিশ্চিত পুরস্কার পেয়ে হাসিমুখে তারা বাড়ি ফিরছেন। এতে ক্রেতাদের ঈদ আনন্দে যোগ করছে নতুন মাত্রা। আর এই ক্যাম্পেইন চলবে চাঁদরাত পর্যন্ত। 

ক্রেতারা যাতে সহজে উপহার পেতে পারেন সেজন্য শপিংমলের সেন্টার কোর্টে গিফটের পৃথক বুথ করা হয়েছে। পণ্য ক্রয়ের রসিদ নিয়ে সেখানে থাকা কিউআর কোড অথবা gift.jamuna.info এ তথ্য দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা উপহার জিতলে বুথ থেকে সংগ্রহ করতে পারছেন। বৃহস্পতিবারও এ আয়োজনে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের মাঝে উপহার সামগ্রী তুলে দিয়েছেন যমুনা ফিউচার পার্ক কর্তৃপক্ষ। 

দুপুরে ইনফিনিটি আউটলেটে কেনাকাটা করছিলেন নতুনবাজার এলাকা থেকে আসা আঁখি ও শামিম দম্পতি। তারা যুগান্তরকে বলেন, যমুনা ফিউচার পার্কের প্রত্যেকেটি ব্র্যান্ডের শোরুম অনেক বড়। এতে একটি শোরুমেই সব পাওয়া যাচ্ছে। কষ্ট করে এদিক ওদিক আর যেতে হচ্ছে না। 

এছাড়া অন্যকিছু দরকার হলেও শপিং মলের বাইরে যেতে হচ্ছে না। একটু হেঁটেই আরেকটি ব্র্যান্ডের শোরুমে গিয়ে চাহিদামতো পণ্য মিলছে। যেন এক স্বস্তির নাম যমুনা ফিউচার পার্ক। তাই সব সময় এই শপিংমল থেকে কেনাকাটা করি। আর ঈদ এলে অন্যকোথাও যাওয়ার চিন্তাই করি না।

তারা আরও বলেন, পরিবারের সবার জন্য জামা-কাপড় কেনা শেষ। এবার জুতার শোরুমে যাব। সেখান থেকে কেনাকাটা করে চিন্তা করেছি হোলসেল ক্লাবে গিয়ে কসমেটিক্স সামগ্রী কেনাকাটা করব। কারণ এখানে কম দামে উন্নতমান ও আসল পণ্য পাওয়া যায়। সব শেষে শপিংমলের ফুডকোটে গিয়ে ইফতার শেষ করে বাকি কেনাকাটা শেষ করে বাসায় ফিরব। বিষয়টি একদম সহজ। একই ছাতার নিচে সব মেলায় স্বস্তির যেন আর শেষ নেই।

বিকেলে লা রিভ শোরুমে কথা হয় তানিয়ার সঙ্গে। তিনি তার ছোট একমাত্র ছেলে নুসাইবকে (৭) নিয়ে কেনাকাটা করছেন। কথা হলে নুসাইব বলেন, আম্মু অনেক সুন্দর দুই সেট কাপড় কিনে দিয়েছেন। একটির রং লাল ও আরেকটির হলুদ। এখন জুতা কিনব। পরে যাব হোলসেল ক্লাবের সামনে বিভিন্ন রাইডে চড়তে। সেখানে রেলগাড়ি, রোবট আছে। সেগুলো দিয়ে খেলব।

সন্ধ্যায় শপিংমলের এপেক্স শোরুমে কেনাকাটা করছেন রায়হান। তিনি বলেন, এই শপিং মলের প্রত্যেকটি শোরুম অনেক বিশাল। একটি জুতার শোরুম অন্য আরেকটি মার্কেটের সমান। এখানে সব ডিজাইনের জুতা প্রদর্শন করা হয়। তাই দেখে-বুঝে পছন্দ করা যায়। যে কারণে যমুনা ফিউচার পার্কে এসে কেনাকাটা করি। এবার তার ব্যাতিক্রম হয়নি। তবে ঈদের আগে মানে চাঁদ রাতে আবারো আসব।

যমুনা বিল্ডার্সের পরিচালক (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) ড. আলমগীর আলম বলেন, যমুনা ফিউচার পার্কে ক্রেতারা দেশি-বিদেশি সব ব্র্যান্ড একই ছাতার নিচে পাচ্ছেন। প্রথম থেকেই এখানে যারা ব্যবসা করছেন তারা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা করছেন। সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছেন। ক্রেতারাও ভালোমানের পণ্য পাচ্ছেন। এজন্য সবার পছন্দের শীর্ষে এখন যমুনা ফিউচার পার্ক। তাই সবাইকে দক্ষিণ এশিয়ার এই সর্ববৃহৎ শপিংমলে এসে ঈদ কেনাকাটা করতে স্বাগত জানাচ্ছি।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম