ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিকে ওয়ার্ডবয় দিয়ে হার্টের ‘ইটিটি’ করানোর অভিযোগ
উত্তরা পশ্চিম (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০১ এএম
রাজধানীর উত্তরায় ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ওয়ার্ডবয় দিয়ে এক রোগীর হৃদপিণ্ডের এক্সারসাইজ টলারেন্স টেস্ট (ইটিটি) করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ওই রোগীর নাম শরীফুল ইসলাম চৌধুরী।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, হার্টে সমস্যা দেখা দেওয়ায় গত মঙ্গলবার রাতে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভবন-২ এ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবুল খায়েরের কাছে যান। চিকিৎসক তাকে হার্টের ইটিটি পরীক্ষা দিলে রাত ১০টার পর ওই হাসপাতালের ১নং ভবনের ৩০৭নং কক্ষে পরীক্ষাটি করান তিনি।
তবে ওই রোগীর দাবি, ইটিটি করানোর সময় কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ল্যাবে উপস্থিত ছিলেন না। বরং ল্যাবে থাকা নীল রঙের ড্রেস পরা ওয়ার্ডবয় তার ও তার স্ত্রীর কাছ থেকে বনসই রেখে ওয়ার্ডবয় নিজেই ইটিটি করেন।
এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী শরীফুল ইসলাম চৌধুরী হাসপাতালে রিপোর্ট নিতে এসে বিষয়টি বুঝতে পেরে ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশকে জানায়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে । এ সময় এসআই নসিবুল ইসলামের উপস্থিতিতে ওই ভুক্তভোগী ইটিটি করানোর সময় রুমে ডাক্তার না থাকার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করলে ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক কর্তৃপক্ষ তেমন কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
ভুক্তভোগীর দাবি, ইটিটি ৮৪ শতাংশ হওয়ার পর আমার খুব অস্বস্তি লাগছিল। পানি খেতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু কোনো ডাক্তারকে দেখিনি। এর পর তাড়াহুড়ো করে উপস্থিত নার্স ও শুরুর ওই ওয়ার্ডবয়ই যন্ত্রপাতি খুলে ফেলে।
ভুক্তভোগীর স্ত্রী সাবরিনা জানান, ওই ওয়ার্ডবয় আমাদের বলে— ইটিটি করানোর সময় যদি রোগীর কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, সেটির জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। এই বলে সে আমার ও আমার স্বামীর বনসই নিয়েছে। এমন একটা জীবন-মরণের মতো পরীক্ষা করাবে অথচ কোনো ডাক্তার থাকবে না— এর চেয়ে বড় অবহেলা আর কি হতে পারে? আমরা অবশ্যই এ ঘটনায় জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উত্তরা শাখার ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ওই সময় দায়িত্বে সহযোগী অধ্যাপক ডা. আমিনুর রাজ্জাক থাকার কথা। যদি ইটিটির সময় তিনি উপস্থিত না থাকেন, তবে সেটা অবশ্যই অবহেলা। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
এদিকে অভিযুক্ত সহযোগী অধ্যাপক ডা. আমিনুর রাজ্জাকের কাছে মুঠোফোনে অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে যুগান্তরকে তিনি বলেন, আমি পাশের ইসিজি রুমে ছিলাম। তবে ওই রোগীর ইটিটি করানোর সময় ইটিটি কক্ষে ছিলেন কিনা? এ বিষয়ে যুগান্তরকে তিনি তেমন কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।