ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা মজুরির দাবি ট্যানারি শ্রমিকদের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৯ পিএম
ছবি: যুগান্তর
ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা না হলে ট্যানারি শিল্পের একজন শ্রমিক তার বেঁচে থাকার মৌলিক চাহিদা মেটানো থেকে বঞ্চিত হবেন।
অর্ধশত শ্রমিকের সাক্ষাৎকার, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম, বাসা-ভাড়া, চিকিৎসা, শিক্ষা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাতে ন্যূনতম খরচ বিশ্লেষণ করে এ দাবি জানানো হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর তোপখানায় সলিডারিটি সেন্টারের সহায়তায় এবং ট্যান ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ লেবার রাইটস জার্নালিস্ট ফোরামের (বিএলআরজেএফ) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ তথ্য তুলে ধরেন ট্যানারি শিল্পের নেতারা।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক ভুইঞা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও বিএলআরজেএফের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সঞ্চালনা করেন।
উপস্থাপিত তথ্যমতে, সারা বিশ্বে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে স্বীকৃত অ্যাংকর মেথোডোলোজি প্রয়োগ করে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন গবেষণাটি পরিচালনা করেছে।
এ প্রক্রিয়ায় হাজারীবাগ ও হেমায়েতপুর এলাকার ২০ জন নারী ও ৩২ জন পুরুষ মিলে মোট ৫২ জন শ্রমিকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে খাবার, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, বিনোদন, পোশাক, মোবাইল, ইন্টারনেট এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ের গড় ন্যূনতম খরচ বিবেচনায় চারজনের একটি পরিবারের মাসিক খরচ কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকা।
আলোচনায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও ট্যানারি শিল্পে ন্যূনতম মজুরি সুপারিশের জন্য গঠিত মজুরি বোর্ডের ট্যানারি শ্রমিক প্রতিনিধি আব্দুল মালেক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজিজুল হক ভুইঞা বলেন, এটা খুবই কষ্টকর একটা ব্যাপার যে, যখন কিছু লোক হাজার কোটি টাকা এ দেশ থেকে পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে, তখন আমাদের দেশের শ্রমিকরা বেঁচে থাকার ন্যূনতম মজুরির জন্য আন্দোলন করছে। ২৫ হাজার টাকা মজুরি হিসেবে খুবই সামান্য এবং শ্রমিকদের এ দাবি অবশ্যই মেনে নেওয়া উচিত।
সভায় ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ন্যূনতম মজুরি দ্রুত ঘোষণা ও বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান করেন।