Logo
Logo
×

রাজধানী

শ্যালক-ভগিনীপতি মিলে অপহরণ চক্র, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম

শ্যালক-ভগিনীপতি মিলে অপহরণ চক্র, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর মাস্টারমাইন্ড স্কুলছাত্র জামিনুর রহমান (১১) অপহরণের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সেই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। 

রোববার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন-পটুয়াখালী সদরের আব্দুল হাই মাতব্বরের ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন (৩৭), পটুয়াখালী রাঙ্গাবালির বাসিন্দা আইয়ুব আলী ভান্ডারীর ছেলে মো. নূর আলম (৩০), ভোলা লালমহনের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে মো. কামরুল হাসান (২৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার বাসিন্দা কামাল মিয়ার ছেলে মো. রনি মিয়া (৩০), ভোলা চরফেশানের বাসিন্দা দীল মোহাম্মদদের ছেলে মো. মনির হোসেন (৩২), ঢাকা সাভারের মিথুন বিশ্বসের ছেলে মো. জনি বিশ্বাস (৪২), পটুয়াখালী গলাচিপার বাসিন্দা আবুল হোসেন হাওলাদারের ছেলে মো. আসলাম হাওলাদার (২৮)। 

ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, চক্রটি প্রথমে টার্গেট করে চালককে। তাতে ব্যর্থ হলে নিজেদের এক সদস্যকে চালক সাজিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপরই অপহরণের খেলায় মেতে উঠে তারা।

তিনি বলেন, শালা-দুলাভাই মিলে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। চালক কামরুল হচ্ছেন শালা। আর তার দুলাভাইয়ের নাম আব্দুল আল মামুন। তারা দুজনে মিলেই পরিকল্পনা করেন। গ্রেপ্তারকৃতদের প্রত্যেকের নামেই একাধিক মামলা রয়েছে।

এর আগে বুধবার বড় ভাই আমিনকে তার স্কুলে নামিয়ে দেয় তাদের ব্যক্তিগত গাড়িটি। এর পর ছোট ভাই জামিনুরকে তার স্কুলে নামিয়ে দিতে গাড়িটি রওনা দেয়। এ ঘটনার পর থেকেই ১১ বছর বয়সী জামিনুরের আর সন্ধান মেলেনি। ঘটনা দিন বিকালেই এক অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে জানানো হয় গাড়ি এবং ড্রাইভারকে অপহরণ করা হয়েছে।

অপহরণকারীদের দাবি, ফিরে পেতে হলে দিতে হবে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা। আর থানায় অভিযোগ করলেই দেওয়া হয় হত্যার হুমকি। থানায় অভিযোগ না দিয়ে শেষমেশ দফারফা হয় ১৪ লাখ টাকায়। টাকা বুঝে পেয়ে সেদিন মধ্যরাতেই ফিরিয়ে দেওয়া হয় সবাইকে।

তবে এঘটনায় বাবা অভিযোগ না করলেও শিশুটির চাচা ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেফতারের পর বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পান গোয়েন্দারা। অপহরণকারীরা জানান, এ ঘটনার মূলে রয়েছেন গাড়িটির চালক।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম