ডোম ইনোর প্রতারণায় সর্বশান্ত অনেক জমির মালিক
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ডোম ইনোর মালিক আব্দুস সালামের প্রতারণার শিকার অসংখ্য জমির মালিক সর্বশান্ত হয়েছেন। ওই সব জমির মালিক প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ভবন নির্মাণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাঙ্ক্ষিত বাড়ি বা ফ্ল্যাট বুঝে না পেয়ে তারা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কোম্পানিটির হয়রানি ও প্রতারণা থেকে মুক্তি পেতে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক কাজী আদনান সোবহান, হুমায়ুন হাসান, মায়নুল আলম, ফরিদা ইয়াসমিন, গোলাম মোস্তফা, এনামুল হক, শিহাব উদ্দিন আহমেদ ও রোমানা আহমেদসহ ৫০ জন।
লিখিত বক্তৃতায় কাজী আদনান সোবহান বলেন, ডোম ইনোর কাছে প্রতারিত হওয়ার তালিকায় সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা প্রবাসীসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ রয়েছে। উত্তরাধিকার সূত্রে অথবা তিল তিল করে কষ্টের উপার্জনে রাজধানীর বুকে এক খণ্ড জমির মালিকানা লাভ করেছি আমরা। অথচ এ জমি নিয়েই আমরা প্রত্যেকে আজ এক ভয়াবহ সংকটে বিপর্যস্ত।
তিনি বলেন, নিজের জমির ওপর ভবন তৈরির লক্ষ্যে ‘ডোম ইনো’ নামের রিয়েল এস্টেট কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে আমাদের প্রায় পথে বসার অবস্থা হয়েছে। ঢাকায় একটি আবাসিক বহুতল ভবন নির্মাণে সাধারণভাবে তিন বছরের মতো সময় লাগলেও কোম্পানিটির চরম অব্যবস্থাপনা, উদাসীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে ১২-১৬ বছরেও তা সম্পন্ন হয়নি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক সিহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৭ সালে আমাদের পল্টনের ৩০ কাঠা জমিতে ভবন নির্মাণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। ডোম ইনো এখন পর্যন্ত ৩০ কাটি টাকার ফ্ল্যাট বিক্রি করলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।