এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: খুলছে নতুন র্যাম্প, নামা যাবে কারওয়ানবাজারে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৪, ০১:৩৯ পিএম
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আরেকটি র্যাম্প খুলছে শিগগিরই। এতে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে যানবাহন কারওয়ানবাজারের সড়কে নামতে পারবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে র্যাম্পটি পরিদর্শন করে কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষকে।
সোমবার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আকতার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চলতি মাসের ১৫ তারিখের আগেই র্যাম্পটি খুলে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, এক্সপ্রেসওয়ে থেকে এই র্যাম্প কারওয়ানবাজারে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) প্রধান ফটকের সামনে নেমেছে। র্যাম্পের নির্মাণকাজ শেষ। সড়ক ও ফুটপাতের মাঝখানে দেয়াল ঢালাই চলছে। সেখানে দায়িত্বরত নিরাপত্তা সহকারী বুলবুল আহমেদ বলেন, গত মাসেই (ফেব্রুয়ারি) কাজ শেষ হয়েছে। চলতি মাসে এটি খুলে দেওয়া হবে।
এর মধ্য দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ১৬তম র্যাম্প খুলবে। এর আগে বিমানবন্দরসংলগ্ন কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ওঠানামা মিলিয়ে ১৫টি র্যাম্প খুলে দেওয়া হয়েছে। পুরো এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠানামার সংযোগ সড়ক থাকবে মোট ৩১টি। কাওলা থেকে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী পর্যন্ত এই এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। তবে ৩১টি র্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য হবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
ট্রাফিক বিভাগ বলছে, এক্সপ্রেসওয়ে থেকে যানবাহন নামার কারণে এখন ফার্মগেট ও ইন্দিরা রোডে চাপ রয়েছে। কারওয়ানবাজারের র্যাম্প খুলে দিলে মতিঝিল ও দক্ষিণমুখী যান তখন এই র্যাম্প ব্যবহার করবে। এতে ফার্মগেট ও ইন্দিরা রোডের চাপের বড় অংশ কারওয়ানবাজার ও আশপাশের সড়কে চলে আসবে।
ট্রাফিক পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মোস্তাক আহমেদ বলেন, কারওয়ানবাজারের র্যাম্প চালু হলে আশপাশের সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়বে। এখানে ওঠার একটি সংযোগ সড়ক চালু হলে যানজট কম হবে। ট্রাফিক বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা র্যাম্পটি পরিদর্শন করার পর তারা কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষকে। সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে।
পর্যবেক্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক্সপ্রেসওয়ের ওপরে মিড আইল্যান্ড (সড়ক বিভাজক) অনেক নিচু হয়েছে। এতে গাড়ি চাইলে বিভাজক পেরিয়ে উল্টো পথে যেতে পারবে, যা চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি করবে। এ জন্য বিভাজক উঁচু করতে বলা হয়েছে। যেখানে ইউটার্ন আছে, সেটি বন্ধ করে অন্যত্র করতে বলা হয়েছে।
গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর এই মেগাপ্রকল্প উদ্বোধন করা হয়। ৩ সেপ্টেম্বর এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এই অংশে ১৫টি র্যাম্প আছে।
প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আকতার বলেন, এ পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৭৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ অংশে কাজ চলছে। এখানে সোনারগাঁও হোটেলের পাশে একটা ওঠার সংযোগ সড়ক হবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, খুলে দেওয়ার পর থেকে ৪ মার্চ সকাল ৬টা পর্যন্ত ৬০ লাখ ৭৫ হাজার ৩৮টি যানবাহন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪৯ কোটি ৬৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা। জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক বলেন, আপাতত টোল বাড়ানোর পরিকল্পনা তাদের নেই। তবে পুরোপুরি চালু হলে টোল বাড়তে পারে।