মালিবাগে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে পালিয়েছেন কাচ্চি ভাই ও সিরাজ চুইগোস্তর মালিকরা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
রাজধানীর মালিবাগে ‘কাচ্চি ভাই’, ‘সিরাজ চুইগোস্ত’সহ পাঁচটি রেস্তোরাঁ বন্ধ করে পালিয়েছেন এগুলোর মালিকরা। তারা রেস্তোরাঁর সামনে ‘রেস্টুরেন্টের উন্নয়নকাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ’ এমন ব্যানার ঝুলিয়ে রেখেছেন। ফলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দলবল নিয়ে অভিযান চালাতে গিয়ে এসব রেস্তোরাঁ পরিদর্শন করতে পারেননি।
মঙ্গলবার খিলগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করার কথা ছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)। তবে খবর পেয়ে আজ সকাল থেকেই খিলগাঁওয়ের শহিদ বাকি সড়কের দুপাশের শতাধিক রেস্তোরাঁ মালিকপক্ষ বন্ধ রেখেছে।
পরে সেখানকার বহুতল একটি ভবনে অভিযান চালান ঢাকা দক্ষিণ সিটির ম্যাজিস্ট্রেট। সাত তলা এ ভবনের প্রতিটি তলায়ই রেস্তোরাঁ রয়েছে। পরে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় পুরো ভবন সিলগালা করে দেওয়া হয়।
এরপর পাশের একটি বহুতল ভবনে যাওয়ার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা দেখতে পান ভবনটির নিচতলায় ‘রেস্টুরেন্টের উন্নয়নকাজের জন্য প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ’ এমন একটি ব্যানার ঝুলিয়ে রাখা।
মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার ৫৮৯/সি ঠিকানার ভবনটিতে ‘কাচ্চি ভাই’, ‘সিরাজ চুইগোস্ত’সহ পাঁচটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। ভবনের মূল ফটকে তালা লাগানো থাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেটি আর পরিদর্শন করতে পারেননি।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলমকে সাংবাদিকরা জানান, রাতে এসব রেস্তোরাঁ খোলা রাখা হয়। জবাবে তিনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হয় দিনের বেলায়। তাদের অফিস সময় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এরপরও অতিগুরুত্বপূর্ণ হলে তারা অভিযান পরিচালনা করেন। যেমন গতকাল ধানমন্ডিতে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত তারা অভিযান চালিয়েছেন।
ওই ভবনের আশপাশের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত ভবনের সব রেস্তোরাঁ খোলা ছিল। অভিযানের খবর পেয়ে সকালে প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধের ব্যানার টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার ঢাকার অবৈধ রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে সেবা সংস্থাগুলো। এদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ৩ শতাধিক রেস্তোরাঁয় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ১৪টি ব্র্যান্ডের রেস্টুরেন্ট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। অগ্নিনিরাপত্তার দুর্বলতায় ১টি ভবনে সিলগালা ও ৫ প্রতিষ্ঠানকে ৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রেস্তোরাঁ পরিচালনায় ত্রুটি পাওয়ায় সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪৪৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জরিমানা পরিশোধের শর্তে তাদের জামিন দেন।