ছবি: যুগান্তর
তিন দিনব্যাপী হুরাইন ফেব্রিক উইকের পর্দা নামল। দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কে যমুনা গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত প্রদর্শনীর শেষ দিনে গার্মেন্ট মালিক, মার্চেন্ডাইজার ও ফ্যাশন ডিজাইনাররা হুরাইনের উদ্ভাবিত ফেব্রিক দেখতে ভিড় করেন। তারা হুরাইনের ফেব্রিক দেখে ভূয়সী প্রশংসার পাশাপাশি ভবিষ্যতে ব্যবসা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
এবারের প্রদর্শনীতে ২০২৫ সালের বসন্ত ও গ্রীষ্মকালে ব্যবহারোপযোগী নতুন ১৬৫ ধরনের ফেব্রিকের পাশাপাশি সাড়ে ৪ হাজারের বেশি ডিজাইনের ফেব্রিক প্রদর্শিত হয়। এসব ফেব্রিকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- ম্যান মেইড ফেব্রিক, রিসাইকেল ফেব্রিক, পলিয়েস্টার মিক্স ফেব্রিক, ভিসকস ফেব্রিক, লিলেন ফেব্রিক ইত্যাদি। এসব ফেব্রিক ইউরোপের হালফ্যাশনের রং ও ডিজাইন অনুযায়ী বানানো হয়েছে।
হুরাইন এইচটিএফের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম বলেন, বাংলাদেশে একক প্রতিষ্ঠান হিসাবে হুরাইন প্রতিবছর দুবার নিজেদের উদ্ভাবিত ফেব্রিক সম্পর্কে বায়ারদের ধারণা দিতে প্রদর্শনীর আয়োজন করে। প্রতিবারই প্রদর্শনীতে গার্মেন্ট মালিক, মার্চেন্ডাইজার ও ফ্যাশন ডিজাইনারদের ভালো সাড়া পাচ্ছি, যা আমাদের ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজ করতে উৎসাহ জোগায়। এবারের প্রদর্শনীতে এক হাজার ১৮০ জন অংশ নিয়েছেন, যেখানে গত প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছিলেন এক হাজার জন। আগামী সেপ্টেম্বরে শরৎ ও শীতকালের ফেব্রিক প্রদর্শন করা হবে।
আরেক প্রধান বিপণন কর্মকর্তা সৈয়দ মাশকুর আলী বলেন, পশ্চাদমুখী শিল্প শক্তিশালী হওয়ায় বাংলাদেশ নিট পণ্যে শতভাগ মূল্য সংযোজন করতে পারছে। ওভেন খাতে ফেব্রিক আমদানি করায় মূল্য সংযোজন কাক্সিক্ষত মাত্রায় করা যাচ্ছে না। আমরা চাচ্ছি ওভেন খাতে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ফেব্রিক বানিয়ে মূল্য সংযোজন বাড়াতে। সে লক্ষ্যে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, এখন ম্যান মেইড ফাইবারের যুগ চলছে। বিশ্ববাজারে ম্যান মেইড ফাইবারের অফুরন্ত সম্ভাবনা আছে, যেখানে বাংলাদেশের অংশ একেবারেই যৎসামান্য। এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ফেব্রিক উৎপাদনে সরকার নীতি সহায়তা দিলে বিপুল রপ্তানি করা সম্ভব।
ইনডিটেক্স গ্রুপের হেড অব প্রডাক্ট ডেভেলপমেন্ট অমিত বলেন, বাংলাদেশের উদ্ভাবিত নিট, ডেনিম ও ওভেন পণ্য প্রদর্শনে স্থানীয়ভাবে বেশকিছু মেলা হয়। যেখানে দেশের মার্চেন্ডাইজার ও ফ্যাশন ডিজাইনাররা অংশ নেন। বিদেশি বায়ারদের পণ্যের গুণগত মান সম্পর্কে ধারণা দিতে চাইলে তাদের দোরগোড়ায় পণ্য নিয়ে যেতে হবে।
এজন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের খ্যাতনামা টেক্সটাইল মিলগুলোকে নিয়ে বিদেশে প্রদর্শনীর আয়োজন করা যেতে পারে। এটি করা গেলে সুনিশ্চিতভাবে দীর্ঘমেয়াদে সুফল পাবে বাংলাদেশের পোশাক খাত। এজন্য দরকার উপযুক্ত পরিকল্পনা।