যমুনা ফিউচার পার্কে দুই দিনব্যাপী স্টাডি ইন ইন্ডিয়া মেলা শুরু
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৭ পিএম
এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কে দুই দিনব্যাপী ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো’ মেলা শুক্রবার শুরু হয়েছে। সকালে ফিউচার পার্কের মহল হলে মেলার উদ্বোধন হয়। অ্যাফেয়ার্স এক্সিবিশনস অ্যান্ড মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড আয়োজিত এ মেলা আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে।
উদ্বোধনের পরই জমে ওঠে মেলা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা এখানে ভিড় করেন। তাদের নানা অনুসন্ধান ও প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আয়োজক ও স্টল কর্মীদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। যমুনা ফিউচার পার্কে এ মেলা দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মেলায় ভারতের ৩০টির বেশি খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলে প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছে। কম্পিউটার সায়েন্স, মেকানিক্যাল অ্যান্ড সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ, এমবিএ, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিক্স, ক্লাউড কম্পিউটিং, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্টের মতো জনপ্রিয় কিছু কোর্স অফার করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের ভর্তিসংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য দিচ্ছেন। মেলায় শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে তাৎক্ষণিক আবেদন করা এবং শতভাগ মেধাভিত্তিক স্কলারশিপ অর্জনের সুযোগ পাচ্ছেন।
অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি, শারদা ইউনিভার্সিটি, লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি, চণ্ডীগড় ইউনিভার্সিটি, অ্যামিটি ইউনিভার্সিটি, এসআরএম ইউনিভার্সিটি, মানব রচনা ইউনিভার্সিটি, কেআইআইটি ইউনিভার্সিটি, বিএমএস কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং, পিডিইইউ, এমআইটি ওয়ার্ল্ড পিস ইউনিভার্সিটি, মোদি ইউনিভার্সিটি, সিভি রমন বিশ্ববিদ্যালয়, আদিত্য গ্রুপ অব ইনস্টিটিউটস, পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় বিশ্ববিদ্যালয়।
অ্যাফেয়ার্স এক্সিবিশনস অ্যান্ড মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক রিতেস জয়সোয়ান জানান, উন্নত শিক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীরা এমনকি কর্মজীবী-পেশাজীবীরাও স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপোতে অংশ নিতে পারবেন। শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের বিনামূল্যে এক্সপোতে অংশগ্রহণের সুযোগ আছে। স্টলগুলো পরিদর্শন করলে ছাত্রছাত্রীদের জন্য আকর্ষণীয় গিফটের ব্যবস্থা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা https://studzinindiaexpo.com/bangladesh/ এ নিবন্ধন করতে পারবে।
অ্যাফেয়ার্স এক্সিবিশনসের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্জীব বোলিয়া বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কাছে ভারতের শিক্ষার বিশাল সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়া।