নগর উন্নয়নে জলবায়ু বিজ্ঞানকে বিবেচনায় নেওয়া জরুরি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:০৫ পিএম
শহরাঞ্চলকে কেন্দ্র করে দেশে নগরায়ন ঘটেছে। তাই শহরগুলো অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে বিপর্যস্ত। ফলস্বরুপ শহরের অসংখ্য বাসিন্দাকে নিম্নমানের জীবনযাপন করতে হচ্ছে। কিন্তু শুধুমাত্র ঢাকা শহরকে যে পরিমাণ গুরুত্ব দেওয়া হয়, অন্যান্য শহরগুলোকে সে তুলনায় যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এমন বাস্তবতায় নগর উন্নয়নে জলবায়ু ঝুঁকি এবং জলবায়ু বিজ্ঞানকে বিবেচনায় নেওয়া জরুরি। না হলে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে শহরগুলো ক্রমেই বসবাস অযোগ্য হয়ে উঠতে পারে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে নগর পরিকল্পনাবিদ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন।
‘ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট আরবান ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ: পলিসি গ্যাপস অ্যান্ড রিকমেন্ডেশনস’ শীর্ষক সেমিনারটির আয়োজন করে ‘সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি)’।
সেমিনারে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, দেশে অভ্যন্তরীণ জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। এখানকার অভিবাসীদের বসবাসের জন্য শহরগুলোকে জলবায়ু সহিষ্ণু হিসেবে তৈরি করতে হবে। নগরায়ন যাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক, জলবায়ু সহনশীল হয়ে ওঠে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব প্রশমনে অবদান রাখতে পারে, সেভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য নগর উন্নয়নে জলবায়ু বিজ্ঞানকে বিবেচনায় নিয়ে কাজ করতে হবে।
সেমিনারে সিপিআরডির উপস্থাপিত নিবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, জলবায়ু-সহনশীল নগরায়নে সরকার, নীতিনির্ধারক এবং নাগরিক সমাজকে সমন্বিতভাবে কাজ করা জরুরি। রেজিলিয়েন্স ইনডেক্স, ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স মেজারমেন্টের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। পৌরসভাগুলোর বাজেটের সীমাবদ্ধতা প্রশমিত করা, দরিদ্রবান্ধব ও জলবায়ু পরিবর্তন ক্ষতিগ্রস্ত সহায়ক নগরায়নসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রক্রিয়াগুলোতে অংশীজনের অর্থবহ অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে হবে।
সেমিনারে সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. সামছুদ্দোহার সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পলিসি ও অ্যাডভোকেসি পরিচালক পার্থ হেফাজ শেখ, ডরপের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ জোবায়ের হাসান, ডিয়াকোনিয়ার কান্ট্রি ডিরেক্টর খোদেজা সুলতানা, প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশন’র রিজিওনাল ক্লাইমেট অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার শাহনেওয়াজ ওয়ারা। আইসিএলইআই’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মো. জুবায়ের রশিদ, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মো. আতিকুর রহমান মল্লিক প্রমুখ।
সেমিনারে সিপিআরডির রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি অফিসার নাজনীন সুলতানা এবং রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলমী তাবাসসুম গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন। এ সময় সিপিআরডির প্রকাশিত একটি গবেষণা নিবন্ধের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।