শীতার্তদের মাঝে ১৫০০ কম্বল বিতরণ করলের ডিএনসিসি কাউন্সিলর
ভাটারা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৫ এএম
হাড় কাঁপানো শীতে অসহায় ও দুস্থ মানুষকে উষ্ণতা দিতে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে পাশে দাঁড়ালেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ভাটারা থানার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. ইসহাক মিয়া।
ঢাকা মহানগর উত্তরের কুড়িল এলাকায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেছেন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইসহাক মিয়া।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কুড়িলের বিভিন্ন এলাকায় সিটি কর্পোরেশন এবং ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১৫০০ জন সুবিধাবঞ্চিত শীতার্ত এলাকাবাসীদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি। এদের মধ্যে নারী , শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি। শৈত্যপ্রবাহে গরম কাপড়ের অভাবে শীতের তীব্র কষ্টে ভোগান্তি বাড়ে শিশু, বৃদ্ধসহ নিম্ন আয়ের কর্মজীবী মানুষজনের। হতদরিদ্র এসব মানুষের, যাদের শীতবস্ত্র নেই, শীত নিবারণের জন্য সামান্য একটি কম্বল নেই। তাদের কথা বিবেচনা করে আজ কাজীবাড়ি সাদমুসা সুপার শপ প্রাঙ্গণে ৪০০ জন, কুড়াতলী স্কুলে ৫০০ জন, জগন্নাথপুরে ৩০০ জন এবং কুড়িল ফ্লাইওভার সংলগ্ন এলাকায় ৩০০ জনসহ মোট ১৫০০ জনকে কম্বল বিতরণ করেন তিনি।
শীতবস্ত্র বিতরণকালে কাউন্সলর মো. ইসহাক মিয়া জানান, শীতের তীব্রতা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে মানুষের কষ্ট। হাড়কাঁপুনি শীতে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের কষ্ট অবর্ণনীয়। শৈত্যপ্রবাহের কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবন-জীবিকা। পাঁচ পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষের সুখে দুঃখে আমরা পাশে আছি পাশে থাকব। করোনায় আমরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়ে এসেছি। নেত্রী বলেছিল একটি মানুষও যাতে ক্ষুধায় কষ্ট না করে।
তিনি আরও জানান, শীতের তীব্রতায় যাতে মানুষের কষ্ট না হয় নেত্রীর এমন নির্দেশনার আলোকে আমরা শীতার্ত মানুষের জন্য কাজ করছি। সরকারের পাশাপাশি দেশের বিত্তবান মানুষদেরও এ সময় এগিয়ে আসতে হবে। সবার সম্মিলিত চেষ্টায়ই শীতের কষ্ট থেকে দরিদ্র মানুষদের রক্ষা করা সম্ভব। আসুন আমরা সাধ্যমতো শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই এবং শীতবস্ত্র বিতরণ করি। সমাজের বিত্তবানরা যে যার অবস্থান থেকে এইসব হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ালে দরিদ্র মানুষগুলোর মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফোটানো সম্ভব।
শীতবস্ত্র নিতে আসা কাজীবাড়ির আমেনা বেওয়া (৫৪) বলেন, শীতবস্ত্র আমাদের খুব দরকার ছিল। কয়দিন থেকে অনেক শীত পড়ছে। কয়কদিন আগে পেলে আরও বেশি ভালো হতো।
জমজ রোড মহল্লার আব্দুল হামিদ (৬৫) কম্বল পেয়ে বলেন, শীতে জীবন যায় যায়। আজ রাতে ভালো ঘুম হবে। আল্লাহ উনাদের ভালো করুন।