Logo
Logo
×

রাজধানী

তিন দিনব্যাপী পৌষমেলা শুরু শুক্রবার

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:২৮ পিএম

তিন দিনব্যাপী পৌষমেলা শুরু শুক্রবার

ছবি-যুগান্তর

পৌষ পেরিয়ে চলছে মাঘ মাস। আবহমান বাংলার শীত মানেই পিঠা-পুলি, পায়েস। শহরের মানুষও এখন পিঠার কদর বুঝতে পারে। তাই পিঠা-পুলির আয়োজনে লোকসমাগম হয় বেশ। দেশীয় নানা ধরনের পিঠার সঙ্গে বাংলার চিরায়ত গান, নৃত্য, যাত্রা, সংযাত্রা উপভোগের সুযোগ নিয়ে পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হবে আরেকবার। 

রাজধানীর ওয়াইজঘাটে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বুলবুল ললিতকলা একাডেমির মাঠে তিন দিনব্যাপী এই মেলা শুরু হবে শুক্রবার। এদিন সকাল ৯টায় পৌষমেলা উদ্বোধন করবেন নাট্যজন ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর এমপি। আয়োজনে পৌষমেলা উদযাপন পরিষদ।

বুধবার শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার হলে এক সংবাদ সম্মেলনে উৎসবের বিস্তারিত জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উদযাপন পরিষদের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সহ-সভাপতি ঝুনা চৌধুরী, মাহমুদ সেলিম, ডালিয়া নওশীন, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় প্রমুখ।

গোলাম কুদ্দুছ বলেন, পৌষমেলার মূল উদ্দেশ্য- গ্রামীণ সংস্কৃতির নান্দনিক উপহার পিঠা-পুলি, মালপোয়া-নকশি পিঠা, চিতই, ভাপা, চই, পাটিসাপটা, নলেন গুড়ের পায়েস ইত্যাদির উপস্থাপন। বার্গার-হটডগের আগ্রাসী কবল থেকে এই প্রজন্মকে সরিয়ে পিঠা-পুলির স্বাদ গ্রহণে অভ্যস্ত করা। সেই সঙ্গে পরিশীলিত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড উপস্থাপনের মাধ্যমে অপসংস্কৃতি রোধ করা। বিকৃতি আর ফিউশনের জাঁতাকলে পড়ে আমাদের লোকগান আজ বিপন্ন। স্থানে স্থানে বাউল শিল্পীদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। কেন এই আক্রমণ আর কেন-ই বা লোকগান নিয়ে যথেচ্ছাচার? গ্রামীণ ঐতিহ্যের এই আয়োজন তিনদিনই লোকগানে বিভোর থাকবে।

তিনি বলেন, মেলা বা উৎসব হচ্ছে মানুষের মিলনক্ষেত্র। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ অংশগ্রহণ করে এবং নবান্নের আনন্দে বিভোর গ্রামীণ জনপদ আত্মীয়-স্বজনের আনাগোনায় মুখর হয়ে ওঠে। সেই স্মৃতি, সেই আনন্দ, সেই তালপাতার বাঁশি আজো আমাদের কিশোর বেলাকে নাড়িয়ে দিয়ে যায়। গ্রামীণ সমাজ এখন সংস্কৃতি বিমুখ হয়ে পড়েছে, নগর সভ্যতা ক্রমশ আগ্রাসী হয়ে গ্রামীণ সমাজকে ধ্বংস করে ফেলেছে। গ্রামে গ্রামে কীর্তন বা কবিগানের আসর বসতো। এখন সবই অস্তমিত। এবারের আয়োজনে থাকছে সংগীত, আবৃত্তি, নৃত্য, বাউল গান, যাত্রা, সংযাত্রাসহ নানা কিছুর উপস্থাপন।

পৌষমেলার প্রথম দিন সকাল ৯টায় শুরু হয়ে মেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। এদিন দলীয় সংগীত পরিবেশন করবে বহ্নিশিখা, উঠোন, ঋষিজ ও উদীচীর শিল্পীরা। একক গান গেয়ে শোনাবেন খায়রুজ্জামান কাইয়ুম, সৃজ্যোতি রায়, অলোক দাশগুপ্ত, সুরাইয়া পারভীন, ফকির সিরাজ, লামিয়া ঐশ্বর্য, সমর বড়ুয়া প্রমুখ। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করবে স্পন্দন শিশু দল, গেন্ডারিয়া কিশলয় কচিকাঁচার মেলা, স্বরতরঙ্গ। এ ছাড়াও থাকবে আবৃত্তি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম