‘ভোট ঠেকানো প্রতিহত করা পুলিশের সাংবিধানিক দায়িত্ব’
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪৫ পিএম
![‘ভোট ঠেকানো প্রতিহত করা পুলিশের সাংবিধানিক দায়িত্ব’](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2023/12/25/image-755323-1703493908.jpg)
যারা ভোট ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছেন তাদের প্রতিহত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেছেন, যারা ভোট ঠেকাতে আসে তাদের অপতৎপরতা প্রতিহত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব।
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে সোমবার ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, ভোট দেওয়া যেমন গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোট না দেওয়াও গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু ভোট ঠেকানো গণতান্ত্রিক অধিকার নয়৷ যারা ভোট ঠেকাতে আসে তাদের অপতৎপরতা প্রতিহত করাও সাংবিধানিক দায়িত্ব প্রতিটি নাগরিক, জনপ্রতিনিধির ও পুলিশের।
কাউন্সিলরদের কাছ থেকে কোনো ঝুঁকি কিংবা নাশকতার কোনো তথ্য পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকার পুলিশ প্রধান বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট ঝুঁকি নেই, নাশকতা নেই। কাউন্সিলররা জানিয়েছেন, তাদের এলাকার লোকজন ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন, সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেবেন।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় দুটি সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ড রয়েছে। ১৭২ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। আজকে কাউন্সিলরদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কার কোন এলাকায় সমস্যা আছে সেটি আমাদেরকে অবহিত করেছেন তারা।
হাবিবুর রহমান বলেন, নির্বাচনে ভোটদানে নিরুৎসাহিত ও ভোটদানে বাধা প্রদান কার্যক্রম যাতে কেউ না করতে পারে সেজন্য কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়েছে। তারাও ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে চেয়েছে এবং আগামী দিনে সবাই যাতে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে সেজন্য আমরা বদ্ধ পরিকর।
ঢাকা মহানগরীতে যে সব ফুটপাত ও রাস্তা দখল রয়েছে সেগুলো দখল মুক্ত করতে পুলিশ ও কাউন্সিলররা একসঙ্গে কাজ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ তাদেরকে তুলে দিতে পারে কিন্তু পুনর্বাসনের বিষয়টিও এর সঙ্গে জড়িত৷ সুতরাং বিকল্প কোনো ভেন্যুতে দেখেশুনে করতে পারে সে লক্ষ্যে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। প্রতি ওয়ার্ডে থানার ইনচার্জ ও ডেপুটি কমিশনার ও কাউন্সিলদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে পরবর্তীতে এর সমাধান করা হবে বলেও উল্লেখ করেন ডিএমপি কমিশনার।