Logo
Logo
×

রাজধানী

হৃদরোগ হাসপাতালের দেওয়ালে ফাটল আতঙ্ক

Icon

মোহাম্মদপুর (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:১৫ পিএম

হৃদরোগ হাসপাতালের দেওয়ালে ফাটল আতঙ্ক

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের (এনআইসিবিডি) ৬,৭ ও ৮ তলার দেওয়ালে বিশাল ফাটল দেখা দিয়েছে। 

সোমবার সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালের দক্ষিণ পাশের ভবনের দেওয়ালে হঠাৎ ফাটল দেখা যায়। এতে হাসপাতালের রোগী-স্বজন ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতাল ও আশপাশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, পাশে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ভবন নির্মাণে পাইলিংয়ের কাজ চলছে। এ কম্পনে হৃদরোগ হাসপাতালের দক্ষিণ পাশের ভবনের দেয়াল ও পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। তারা বলেন, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় এমন ঘটেছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে রোগীদের ঝুঁকির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। গত বছর হাসপাতালটির চতুর্থ তলা থেকে অষ্টম তলা পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। 

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জহুরা বেগম জানান, হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কয়েক দিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছি। হাসপাতালের দেওয়ালে বিশাল ফাটল দেখা দেওয়ায় খুবই আতঙ্কে রয়েছি। কখন যে দেওয়াল ধসে পড়ে এ নিয়ে আতঙ্কে দিন পার করছি। রোগী খবিরুল ইসলামের স্বজন জানান, সকালের দিকে হঠাৎ করে হাসপাতালের ৬, ৭ ও ৮ তলার দেওয়ালে বিশাল ফাটল দেখা দেয়। ফাটলে পিলারগুলোর রড দেখা যাচ্ছে। এ জন্য আমরা আতঙ্কে রয়েছি। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের এক নার্স জানান, হাসপাতালের ৭ তলায় কেবিন আছে। সেখানে অনেক রোগী ভর্তি আছে। পাশাপাশি, ৮ তলায় সেমিনার রুম ও ল্যাব আছে। সেখানে সবচেয়ে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। পিলারের রড দেখা যাচ্ছে। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 

এ বিষয়ে হাসপাতালটির উন্নয়ন বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহমুদুজ্জামান জানান, পাশের সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভবন নির্মাণে পাইলিংয়ের কম্পনে ফাটল দেখা দিয়েছে। 

তিনি বলেন, ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। 

জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের (প্রজেক্ট) দায়িত্বে থাকা ভবন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পদ্মা এন্টারপ্রাইজের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল কাদের জানান, প্রায় আড়াই বছর আগে আমরা ভবন হস্তান্তর করেছি। এখন আর আমরা দেখভাল করি না। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভবন নির্মাণে পাইলিংয়ের কাজ করায় এ ভবনের দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। তবে ভবনের বাইরের অংশে ফাটল ধরেছে।

এ ব্যাপারে জানতে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মীর জামালের অফিসে গিয়ে, তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল ও খুদেবার্তা পাঠিয়ে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম