রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে মাদকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ৫ দিন ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেনেভা ক্যাম্পের এনআরসি অফিসে মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। এরপর থেকে সেখানে থেমে থেমে সংঘর্ষ হচ্ছে। 

৫ দিন ধরে এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের ওপর হামলা করায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এখনো পেট্রোলবোমা, রামদা, চাপাতি ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষ সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার দুপুরেও একজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষ।

জানা গেছে, রোববার রাতে জেনেভা ক্যাম্পের এনআরসি অফিসে কামাল বিরিয়ানির মালিক কামাল দলবলসহ মাদক সেবন করতে যায়। এ সময় এনআরসির চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। স্থানীয় কাউন্সিলরের পিএস রায়হানের ছত্রছায়ায় সৈয়দপুরিয়া গ্রুপের বাবু ওরফে কালা বাবু এবং কামাল এনআরসি চেয়ারম্যানের মাদক ব্যবসায়ী চক্র বুনিয়া গ্রুপ ও মনু গ্রুপের ওপর হামলা করে। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুরো ক্যাম্পে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। 

স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষের পরদিন গোলাম জিলানী ও কামালকে পুলিশ আটক করে। এর পরদিন তাদের ছেড়ে দিলে আবার সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষ বন্ধে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ।

ক্যাম্পের বাসিন্দা ওমর আলী জানান, কিছুক্ষণ পর পর এক গ্রুপ আরেক গ্রুপকে ধাওয়া করছে। ইট-পাটকেল ছুড়ে ও পেট্রোলবোমা মেরে চারদিকে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। অনেকে ইটের আঘাতে আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কামালের ছেলে ইরফানকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষ। সংঘর্ষ আরও ভয়ংকর রূপ পাবে। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কে রয়েছি। 

আরেক বাসিন্দা বিলকিস জানান, রাস্তায় বের হয়ে আমরা আহত হয়েছি। আমাদের সন্তানরা স্কুলে যেতে পারছে না।

এ বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ নূর ইসলাম রাষ্ট্রন বলেন, কয়েকদিন ধরে ক্যাম্পের ভেতর মাদককে কেন্দ্র করে এনআরসি চেয়ারম্যান জিলানী ও কামালের সঙ্গে উত্তেজনা চলছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি। 

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আজিজুল হক বলেন, আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।