হোটেলে ড্যান্স করতেন মিম, মৃত্যুর আগে বন্ধুর সঙ্গে কফি খেতে বের হয়েছিলেন
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ১০:২৮ পিএম
![হোটেলে ড্যান্স করতেন মিম, মৃত্যুর আগে বন্ধুর সঙ্গে কফি খেতে বের হয়েছিলেন](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2023/10/09/image-727019-1696868884.jpg)
রাজধানীর মালিবাগ ফ্লাইওভার থেকে পড়ে নিহত সাহিদা ইসলাম মিম একটি হোটেলে ড্যান্স করে উপার্জন করতেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার। রোববার রাত ৯টার দিকে কফি খাওয়ার কথা বলে রাতে তার এক বন্ধু ফোন করে তাকে নিয়ে যায়।এরপর মধ্যরাতে মিমের মৃত্যুর সংবাদ পায় পরিবার।
মিমের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ফ্লাইওভার থেকে লাফিয়ে পড়েছেন নাকি কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তবে তার মায়ের দাবি, মিমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের মায়ের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কফি খাওয়ার কথা বলে রাতে তার এক বন্ধু ফোন করে নিয়ে যায় মিমকে।
মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে রমনা থানায় এসে আহাজারি করতে থাকেন মা আজিমুন ইসলাম নাজমা। যিনি একে একে স্বামী, বড় ছেলে এবং একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে নির্বাক। এখন তার এক ছেলে আছে। তবে চাকরিসূত্রে সে থাকে ফরিদপুরে। এ দুর্দিনেও কাছে নেই সে। তাই মেয়ে হারানোর শোক একাই বইতে হচ্ছে তাকে।
মিমের মা নাজমা জানান, রাজধানীর একটি হোটেলে ড্যান্স করে উপার্জন করত মিম। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এক বন্ধুর ফোন পেয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যায় মিম। সর্বশেষ রাত সাড়ে ১১টার পর মেয়ে মিমের সঙ্গে কথা হয়েছিল তার। বলছিল ফিরতে একটু দেরি হবে। রাত দেড়টা নাগাদ বাসায় না ফেরাতে আবারো ফোন দেন মা নাজমা।
এবার ফোন ধরে পুলিশ জানায়, মালিবাগে আসতে হবে তাকে। আর এসে যা দেখেন, তাতে শোকাহত হয়ে পড়েন এই মা। বারবার জ্ঞান হারাতে থাকেন তিনি। জ্ঞান ফিরলে অভিযোগ করেন কেউ না কেউ হত্যা করেছে তার মেয়েকে।
তিনি আরও বলেন, আমার মেয়েকে বাসা থেকে ফোন করে ডেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে আমার মেয়েকে। তবে কোন বন্ধু ডেকে এনেছিল তা বলতে পারেননি তিনি।
ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা লোকজন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, মৌচাক হতে রামপুরাগামী প্রধান সড়কের ফ্লাইওভারের ওপর থেকে মালিবাগ সোহাগ পরিবহণের কাউন্টারের পাশে সাফেনা গলির মুখে ওই তরুণীকে পড়ে যেতে দেখেন তারা। এ সময় উপরে একটি ছেলেকে দেখতে পান। ঘটনার পরপরই ওই যুবক সটকে পড়েন সেখান থেকে।
পুলিশের রমনা জোনের এডিসি শাহ আলম মো. আখতারুজ্জামান জানান, মেয়েটি একা এসেছিল নাকি তার সঙ্গে কেউ ছিল তা চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। ফ্লাইওভারের বিভিন্ন মুখের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার জন্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তদন্তের পর জানাতে পারব বিষয়টি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
রমনা থানার এসআই আমেনা খানম জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে রোববার রাত ৩টার দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। ওই তরুণী মৃত্যুর আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন কিনা বা মাদকাসক্ত ছিলেন কিনা তা সুরতহাল প্রতিবেদনে জানতে চাওয়া হয়েছে।