Logo
Logo
×

রাজধানী

হুরাইন উইকে বিশ্বমানের ফেব্রিক দেখে সন্তুষ্ট ক্রেতারা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:২৫ পিএম

হুরাইন উইকে বিশ্বমানের ফেব্রিক দেখে সন্তুষ্ট ক্রেতারা

ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের শরৎ ও শীতকালীন পোশাক তৈরির জন্য বিশ্বমানের ফেব্রিক প্রদর্শনী হুরাইন উইক-২০২৩-এ ব্যাপক সাড়া পড়েছে। তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনের দ্বিতীয় দিনে প্রদর্শনী স্থান ক্রেতাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। 

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশি-বিদেশি গার্মেন্ট-সংশ্লিষ্টরা এই আয়োজনে ভিড় করেন। বিশ্বমানের ফেব্রিক দেখে তারা সন্তুষ্ট। অনেকেই তাদের চাহিদা মতো কাপড় পছন্দ করছেন। আর এই আয়োজন আজ শেষ হচ্ছে। 
বুধবার দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিমংল যমুনা ফিউচার পার্কে (লেভেল-৭, এন্ট্রি-৩) প্রদর্শনী স্থান ঘুরে এবং হুরাইন কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

হুরাইন এইচটিএফ লিমিটেডের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম যুগান্তরকে বলেন, হুরাইনের পক্ষ থেকে ২০২৪ সালের শরৎ ও শীতকালীন পোশাক তৈরির জন্য বিশ্বমানের ফেব্রিক প্রদর্শন করা হয়েছে। আয়োজনে অংশ নিতে ইতোমধ্যে ১১৭৩ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন। প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিনে এসেছেন ৩৫৫ জন। সবাইকে নিয়ে একধরনের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। আশা করা হচ্ছে কাল শেষ দিন গার্মেন্টসের প্রধান, বিপণন কর্মকর্তা ও বায়িং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আরও ভিড় থাকবে।

হুরাইন উইকে ভারতের সিম্পল অ্যাপ্রোচ প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছেন প্রতিষ্ঠানের হেড অব ফেব্রিক সোর্স শম্ভু নাথ। জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, হুরাইন বিশ্বমানের ফেব্রিক তৈরি করে। গবেষণার মাধ্যমে তারা ভিন্নমাত্রার কাপড় তৈরি করে। তারা আনারসের আঁশ দিয়েও কাপড় তৈরি করেছে, যা মানের দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে। বিশ্বে হুরাইনের কাপড়ের অনেক কদর রয়েছে। তাই তাদের এই আয়োজনে আমার প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবছর আসা হয়। এবারও এসেছি। তিনি জানান, এবার বিশেষ করে শীত ও শরৎকাল মাথায় রেখে কাপড় প্রদর্শন করা হয়েছে। তাদের সব কালেকশন পছন্দ হয়েছে। কাপড়ের মান দেখে আমি সন্তুষ্ট।

দেশের একটি মার্চেন্ডাইজিং প্রতিষ্ঠান থেকে আসা মার্চেন্ডাইজার সাহানা যুগান্তরকে বলেন, কাপড় কালেকশনে হুরাইনের ব্যতিক্রম আর কাউকে পাওয়া যায় না। তারা বিশ্বমানের কাপড় তৈরি করে, যা দিয়ে পোশাক তৈরি করে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করলে কোনো অভিযোগ আসে না। যে কারণে এখানে নতুন কালেকশন দেখতে আসা। 

এদিকে হুরাইনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম জানান, অনেক বায়িং হাউজ ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্ডার এনে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। এ ক্ষেত্রে তারা যে ফেব্রিক বিদেশ থেকে আমদানি করছে, এর চেয়ে ভালো মানের ফেব্রিক হুরাইন বানাতে সক্ষম। প্রদর্শনীতে সে বিষয়টি তাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে। ফেব্রিকে কী কী নতুনত্ব এনেছি, কী রং তুলে ধরছি, কাপড়ে কী নতুন উপকরণ এনেছি, এগুলো প্রদর্শনীতে এসে বায়াররা দেখছেন। 

দেশসহ বিদেশের বায়ারদের মাঝে হুরাইন এইচটিএফ ফেব্রিকের জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। হুরাইনের নিজস্ব উদ্ভাবিত ফেব্রিক বিদেশি ক্রেতাদের নজর কেড়েছে। ইতোমধ্যে আমরা দেশিবিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করছি। এ ধারাবাহিকতা আগামী দিনেও বজায় রাখতে উন্নয়ন ও গবেষণা খাতে বিপুল বিনিয়োগ করেছি। আমরা বিশ্বদরবারে ফেব্রিক নিয়ে বাংলাদেশকে তুলে ধরছি।

হুরাইন কর্তৃপক্ষ জানায়, ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু এই আয়োজন বৃহস্পতিবার শেষ হবে। শেষ দিনও সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে আসতে পারবেন। পাশাপাশি একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২৪ সালের শরৎ ও শীতকালীন পোশাক তৈরির জন্য বিশ্বমানের ফেব্রিক প্রদর্শনী উইক শেষ হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম