হুরাইন ফেব্রিক্সে ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়ছে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:২৮ পিএম
দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিমংল যমুনা ফিউচার পার্কে (লেভেল ৭, এন্ট্রি ৩) শুরু হলো হুরাইন ফেব্রিক উইক-২০২৩।
বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ফেব্রিক্সকে তুলে ধরতেই তিন দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করেছে দেশের স্বনামধন্য ব্র্যান্ড হুরাইন ফেব্রিক্স। মঙ্গলবার এ মেলা উদ্বোধন করেন যমুনা গ্রুপের পরিচালক ও হুরাইন এইচটিএফ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম।
এ সময় হুরাইনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা আব্দুল হাকিমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ প্রদর্শনী শেষ হবে বৃহস্পতিবার।
সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম বলেন, মেলার শুরুতে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। হুরাইন কখনো পণ্যের মানের সঙ্গে আপস করে না। সব সময় উদ্ভাবনী ও উন্নতমানের ফেব্রিক্স তৈরি করে থাকে। কারণ, বিশ্বের নামিদামি ব্র্যান্ডকে ফলো করে হুরাইন। পাশাপাশি ডিজাইন এবং কালারে ভিন্নতা আনতে নিজস্ব গবেষণাও আছে। বর্তমান বিশ্বে কোন ধরনের পণ্য বেশি চলে, সেটা মাথায় রেখে পণ্য তৈরি করা হয়।
এছাড়া হুরাইনের পণ্য সবচেয়ে বেশি আরামদায়ক, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই। ফলে দিনদিন হুরাইনের পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়ছে।
হুরাইন কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার জানায়, হুরাইন ফেব্রিক উইকে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের শরৎ ও শীতকালের পোশাক তৈরির জন্য ফেব্রিক প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্রদর্শনীতে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিভিন্ন গার্মেন্ট ও বায়িং হাউজ-সংশ্লিষ্টরা আসতে পারবেন।
আব্দুল হাকিম বলেন, এবারের আয়োজনে সাড়ে তিনশর বেশি পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। মূলত ২০২৪ সালের শরৎ ও শীতকাল মাথায় রেখে এ আয়োজন সাজানো হয়েছে। ফেব্রিকে কী কী নতুনত্ব এনেছি, কী রং তুলে ধরছি, কাপড়ে কী নতুন উপকরণ এনেছি-এগুলো বায়ারদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। অনেক বায়িং হাউজ বায়ারের কাছ থেকে অর্ডার এনে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। এক্ষেত্রে তারা যে ফেব্রিক বিদেশ থেকে আমদানি করছে, এর চেয়ে ভালো মানের ফেব্রিক হুরাইন বানাতে সক্ষম।
প্রদর্শনীতে সে বিষয়টি তাদের কাছে তুলে ধরা হবে। বিশেষ করে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের বায়ারদের জন্য হুরাইনের পক্ষ থেকে শরৎ ও শীতকালীন পোশাক তৈরির জন্য বিশ্বমানের ফেব্রিক এখানে প্রদর্শন করা হবে। বিভিন্ন গার্মেন্টের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ও বায়িং হাউজগুলোকে হুরাইনের ফেব্রিক সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য এ আয়োজন।
তিনি জানান, অল্প সময়ের মধ্যে হুরাইন এইচটিএফ দেশে ও বিদেশে ফেব্রিকের জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। হুরাইনের নিজস্ব উদ্ভাবিত ফেব্রিক বিদেশি ক্রেতাদের নজর কেড়েছে। ইতোমধ্যে দেশিবিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করছি।
এ ধারাবাহিকতা আগামী দিনেও বজায় রাখতে উন্নয়ন ও গবেষণা খাতে বিপুল বিনিয়োগ করেছি। বিশ্বদরবারে ফেব্রিক নিয়ে বাংলাদেশকে তুলে ধরছি।