ক্রেতার কথা চিন্তা করে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে আমদানি করা সব পণ্য বিশেষ অফারে ক্রেতার হাতে তুলে দিচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কের হাইপার মার্কেট ‘হোলসেল ক্লাব’। এরই ধারাবাহিকতায় আমদানি করা বেকিং আইটেম ও তেলপণ্যে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ অফার চলবে।

উন্নত বিশ্বের আদলে এ মার্কেটের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভোক্তাদের পাইকারি মূল্যে ভেজালমুক্ত আন্তর্জাতিকমানের নিত্যপণ্য দিচ্ছে স্বনামধন্য শিল্পগোষ্ঠী ‘যমুনা গ্রুপ’। আর যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নুরুল ইসলামের স্বপ্নের বাস্তবরূপ হচ্ছে ‘হোলসেল ক্লাব’। তারই হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন যমুনা গ্রুপ ও হোলসেল ক্লাবের পরিচালক সোনিয়া সারিয়াত।

হোলসেল ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানায়, হোলসেল ক্লাব ক্রেতা সাধারণকে পণ্য সরবরাহ করে সেবা প্রদান করছে। তাই ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নামি-দামি আমদানি করা পণ্যের ওপর বিশেষ অফারে পণ্য বিক্রি করা হবে। দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতির বাজারে কুরবানির ঈদের আগে বিভিন্ন পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে পণ্য সরবরাহ করা হয়েছিল। ঈদের পরও বিভিন্ন আমদানি করা পণ্যে বিভিন্ন অফারে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে বিভিন্ন আমদানি করা পণ্য বিশেষ ছাড়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় বেকিং আইটেম ও তেলপণ্যে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, উন্নত বিশ্বের নামি-দামি মার্কেটের আদলে স্বপ্নের এ মার্কেটের আয়তন প্রায় ২ লাখ বর্গফুট। এখানে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সব ধরনের পণ্য একই ছাদের নিচে সহনীয় মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এখানে দেশি-বিদেশি ৫০ হাজারের বেশি পণ্য রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি আমদানি করা পণ্য। এসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালমার্ট, কস্টকো এবং স্যাম’স ক্লাবের মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড থেকে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সরাসরি আমদানি হচ্ছে।

হোলসেল ক্লাবে- মাছ, মাংস, শাক-সবজি, চাল-ডাল থেকে শুরু করে সব ধরনের নিত্যপণ্য, দেশি-বিদেশি ফল, প্রসাধনী, বেকারি আইটেম, ফলমূল, ওষুধ, আসবাবপত্র, রান্নাঘরের সরঞ্জাম, চাদর থেকে শুরু করে ঘরের যাবতীয় পণ্য, শিশুদের খাবার, বই, এমনকি পোষা প্রাণীর খাবারও রয়েছে স্বপ্নের এ মার্কেটে। আর সবচেয়ে উলে­খযোগ্য বিষয়, এসব পণ্যের বিশ্বখ্যাত সব ব্র্যান্ড ও দেশি ব্র্যান্ডের পসরা নিয়ে সাজানো হয়েছে এ মার্কেট। 

হোলসেল ক্লাবে ই-কমার্সের মাধ্যমেও পণ্য মিলছে। ফলে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে হোলসেল ক্লাবের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি অনেক বড় পরিসরে হওয়ায় এখানে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারছে। এ ছাড়া রিফ্রেশমেন্টের জন্য বেকারি অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট রাখা হয়েছে। সেখানে ফ্রেস জুস থেকে শুরু করে কফি, আইসক্রিম ও সব ধরনের ফাস্টফুড আইটেম পাওয়া যাচ্ছে।