হোলসেল ক্লাবে বিশেষ অফার: আটা-ময়দা সস ও মধুপণ্যে ২০ শতাংশ ছাড়
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৩৭ পিএম
দেশের সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কের হাইপার মার্কেট হোলসেল ক্লাবে দেশি-বিদেশি ৫০ হাজারের বেশি পণ্য বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি পণ্য আমদানি করা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্য বিশেষ অফারে বিক্রি করছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আটা-ময়দা, সস ও মধুপণ্যে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ মূল্যছাড় দেওয়া হয়েছে। আর এ অফার ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। শনিবার হোলসেল ক্লাব কর্তৃপক্ষ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে ব্যবসায়িক চিন্তা নয়, সেবার দিক লক্ষ রেখে ক্রেতার কাছে পণ্য সরবরাহ করছে হোলসেল ক্লাব। আর উন্নত বিশ্বের আদলে এ মার্কেটের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভোক্তাদের পাইকারি মূল্যে ভেজালমুক্ত আন্তর্জাতিক মানের নিত্যপণ্য দিচ্ছে স্বনামধন্য শিল্পগোষ্ঠী ‘যমুনা গ্রুপ’। যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নুরুল ইসলামের স্বপ্নের বাস্তব রূপ হচ্ছে ‘হোলসেল ক্লাব’। তারই হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন যমুনা গ্রুপ ও হোলসেল ক্লাবের পরিচালক সোনিয়া সারিয়াত।
হোলসেল ক্লাব কর্তৃপক্ষ যুগান্তরকে জানায়, আমাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে আমদানি করা পণ্যের ওপর বিশেষ অফারে চলতি বছর ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিক্রি করা হবে। কারণ হোলসেল ক্লাব ব্যবসা নয় বরং ক্রেতাদের সেবা দিতে চায়। এ জন্য আমরা কুরবানির ঈদের আগে থেকে বিভিন্ন আমদানি করা পণ্য মূল্যছাড় দিয়ে বিক্রি করছি। সে সময় সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে পণ্য সরবরাহ করেছি। ঈদের পর থেকেও বিশেষ অফার চলমান আছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আটা-ময়দা, সস ও মধুপণ্যে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ মূল্যছাড় দেওয়া হচ্ছে। যা বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ন্যায্যমূল্যে বিশ্বমানের পণ্যসেবা দিয়ে দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে স্বপ্নের এ প্রতিষ্ঠান হোলসেল ক্লাব। এছাড়া উন্নত বিশ্বের নামিদামি মার্কেটের আদলে এ মার্কেটের আয়তন প্রায় ২ লাখ বর্গফুট। এখানে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সব ধরনের পণ্য একই ছাদের নিচে সহনীয় মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এখানে দেশি-বিদেশি ৫০ হাজারের বেশি পণ্য রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি আমদানি করা পণ্য। এসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালমার্ট, কস্টকো এবং স্যাম’স ক্লাবের মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড থেকে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সরাসরি আমদানি হচ্ছে।
হোলসেল ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানায়, এখানে ন্যায্য ও যৌক্তিক মূল্যে দেশি-বিদেশি সব ধরনের পণ্য বিক্রি হচ্ছে। মাছ, মাংস, শাকসবজি, চাল-ডাল থেকে শুরু করে সব ধরনের নিত্যপণ্য, দেশি-বিদেশি ফল, প্রসাধনী, বেকারি আইটেম, ওষুধ, আসবাবপত্র, রান্নাঘরের সরঞ্জাম, চাদর থেকে শুরু করে ঘরের যাবতীয় পণ্য, শিশুদের খাবার, বই, এমনকি পোষা প্রাণীর খাবারও রয়েছে এ মার্কেটে। আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, এসব পণ্যের বিশ্বখ্যাত সব ব্র্যান্ড ও দেশি ব্র্যান্ডের পসরা নিয়ে সাজানো হয়েছে এ মার্কেট। ই-কমার্সের মাধ্যমেও পণ্য মিলছে। ফলে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে হোলসেল ক্লাবের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া কেনাকাটা করতে এসে রিফ্রেশমেন্টের জন্য বেকারি অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট রাখা হয়েছে। সেখানে ফ্রেস জুস থেকে শুরু করে কফি, আইসক্রিম ও সব ধরনের ফাস্টফুড আইটেম পাওয়া যাচ্ছে।