ক্রেতার আস্থার জায়গা হয়ে উঠছে দেশের সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কের হাইপার মার্কেট ‘হোলসেল ক্লাব’। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ক্রেতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন বিভিন্ন আমদানিকারকরা। পণ্যে বিশেষ ছাড় দিয়েছে এই হাইপার মার্কেট। যাতে ক্রেতারা আয়ের সঙ্গে ব্যয় মেলাতে পারেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সফট ড্রিংকস, চিপস ও তেল পণ্যে সর্বোচ্চ ২০% মূল্য ছাড় দেওয়া হয়েছে। ফলে এসব পণ্য কিনতে ক্রেতার স্বস্তি লক্ষ্য করা গেছে।

এদিকে ব্যবসায়িক চিন্তা নয়, সেবার দিকে লক্ষ্য রেখে পণ্য ক্রেতার কাছে সরবরাহ করছে হোলসেল ক্লাব। আর উন্নত বিশ্বের আদলে এ মার্কেটের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভোক্তাদের পাইকারি মূল্যে ভেজালমুক্ত আন্তর্জাতিকমানের নিত্যপণ্য দিচ্ছে স্বনামধন্য শিল্পগোষ্ঠী ‘যমুনা গ্রুপ’। 

যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নুরুল ইসলামের স্বপ্নের বাস্তবরূপ হচ্ছে ‘হোলসেল ক্লাব’। তারই হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন যমুনা গ্রুপ ও হোলসেল ক্লাবের পরিচালক সোনিয়া সারিয়াত। 

হোলসেল ক্লাব কর্তৃপক্ষ যুগান্তরকে বলেন, চলতি বছর ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আমাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে আমদানি করা পণ্য বিশেষ অফারে বিক্রি করা হবে। কারণ হোলসেল ক্লাব ব্যবসা নয় বরং ক্রেতাদের সেবা দিতে চায়। এ জন্য আমরা কুরবানির ঈদের আগে থেকে বিভিন্ন আমদানি করা পণ্য মূল্যছাড় দিয়ে বিক্রি করছি। সে সময়ে সর্বোচ্চ ৫০% পর্যন্ত ছাড়ে পণ্য সরবরাহ করেছি। ঈদের পর থেকেও বিশেষ অফার চলমান আছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সফট ড্রিংকস, চিপস ও তেল পণ্যে সর্বোচ্চ ২০% মূল্য ছাড়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেসব পণ্য বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, ন্যায্যমূল্যে বিশ্বমানের পণ্যসেবা দিয়ে দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে স্বপ্নের এ প্রতিষ্ঠান হোলসেল ক্লাব। উন্নত বিশ্বের নামিদামি মার্কেটের আদলে স্বপ্নের এ মার্কেটের আয়তন প্রায় ২ লাখ বর্গফুট। এখানে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সব ধরনের পণ্য একই ছাদের নিচে সহনীয় মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। সবমিলিয়ে এখানে দেশি-বিদেশি ৫০ হাজারের বেশি পণ্য রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি আমদানি করা পণ্য। এসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালমার্ট, কস্টকো এবং স্যাম’স ক্লাবের মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড থেকে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সরাসরি আমদানি হচ্ছে।

হোলসেল ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানায়, এখানে ন্যায্য ও যৌক্তিক মূল্যে দেশি-বিদেশি সব ধরনের পণ্য বিক্রি হচ্ছে। মাছ, মাংস, শাক-সবজি, চাল-ডাল থেকে শুরু করে সব ধরনের নিত্যপণ্য, দেশি-বিদেশি ফল, প্রসাধনী, বেকারি আইটেম, ফলমূল, ওষুধ, আসবাবপত্র, রান্নাঘরের সরঞ্জাম, চাদর থেকে শুরু করে ঘরের যাবতীয় পণ্য, শিশুদের খাবার, বই, এমনকি পোষা প্রাণীর খাবারও রয়েছে এ মার্কেটে। 

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় এসব পণ্যের বিশ্বখ্যাত সব ব্র্যান্ড ও দেশি ব্র্যান্ডের পসরা নিয়ে সাজানো হয়েছে এ মার্কেট। ই-কমার্সের মাধ্যমেও পণ্য মিলছে। ফলে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে হোলসেল ক্লাবের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। 

এছাড়া কেনাকাটা করতে এসে রিফ্রেশমেন্টের জন্য বেকারি অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট রাখা হয়েছে। সেখানে ফ্রেস জুস থেকে শুরু করে কফি, আইসক্রিম ও সব ধরনের ফাস্টফুড আইটেম পাওয়া যাচ্ছে।