সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রুবেলের খুনিরা গোয়েন্দা জালে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৩, ১০:১৭ পিএম
প্রতীকী ছবি
মালিবাগে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শেখ অলিউল্লাহ রুবেলের (৩৬) খুনিরা গোয়েন্দা পুলিশের জালে রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে রাজি হয়নি সংশ্লিষ্টরা। আজ সংবাদ সম্মেলন করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হতে পারে। তবে ডিবির একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, খুনিদের বেশ কয়েকজনকে আটক করে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দা পুলিশ। এছাড়া বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই চলছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ব্যবসায়িক কাজ শেষে রাজারবাগ থেকে মালিবাগের বাসায় ফিরছিলেন রুবেল। তখনই তার পিছু নেয় ঘাতকরা। মালিবাগের জোয়ারদার লেনে ফাঁকা সড়কে পৌঁছলে তাকে ধাওয়া করে পেছন থেকে চায়নিজ কুড়াল দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে খুনিরা।
১৫৩/এ নিজ ভাড়া বাসার গেট থেকে ১০-১৫ গজ দূরে ফিল্মি স্টাইলে এই হামলার একপর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রুবেল। প্রাণ বাঁচাতে বারবার ওঠার চেষ্টা করেন। ঠিক তখনই কুপিয়ে তার বাম পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এরপর তিনি উঠে দাঁড়াতে পারছিলেন না। তখন ধারালো অস্ত্রের উপর্যুপরি আঘাতে গগনবিধারী চিৎকার করছিলেন রুবেল। যে চিৎকার পৌঁছে যায় তার বাসা পর্যন্ত।
এরপর স্ত্রী-স্বজন এবং আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে খুনিরা পালিয়ে যায়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান রুবেল। এ ব্যাপারে তার স্ত্রী তানজিনা দেওয়ান বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
সূত্র জানায়, এ ঘটনার পর থেকেই পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্তে নামে ডিবি, সিআইডি, র্যাব, পিবিআইসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক ইউনিট। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খুনিদের চিহ্নিত করা হয়। এরপর ডিবি মতিঝিল বিভাগের একটি টিম অভিযান চালিয়ে কয়েকজন খুনিকে আটক করে।
জানা যায়, খুনের মিশনে ৪ জন সক্রিয় ছিল। তারা একটি লাল রংয়ের গাড়িতে এসেছিল। যাওয়ার সময় চারটি চায়নিজ কুড়াল ফেলে গেছে ঘাতকরা।
এ ব্যাপারে গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার রাজিব আল মাসুদ যুগান্তরকে বলেন, এই হত্যার ঘটনার অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এখনই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। তবে খুব শিগগিরই ভালো কিছু জানাতে পারব।