জুস ও সফট ড্রিংকস পণ্যে ২০ শতাংশ ছাড়
ঊর্ধ্বগতির বাজারে হোলসেল ক্লাবে ক্রেতার আস্থা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৩, ১০:০৮ পিএম
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ক্রেতার কথা চিন্তা করে বিভিন্ন পণ্যের ওপর বিশেষ অফারের ব্যবস্থা করেছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কের হাইপার মার্কেট ‘হোলসেল ক্লাব’। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কুরবানি ঈদের আগ থেকেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। ক্রেতা সন্তুষ্টির জন্য ঈদের পরও বিশেষ অফারে বিভিন্ন আমদানি করা পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
এর ধারাবাহিকতায় জুস ও সফট ড্রিংকস পণ্যে ছাড় দেওয়া হচ্ছে ২০ শতাংশ, যা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
শনিবার হোলসেল ক্লাব কর্তৃপক্ষ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে উন্নত বিশ্বের আদলে এ মার্কেটের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভোক্তাদের পাইকারি মূল্যে ভেজালমুক্ত আন্তর্জাতিকমানের নিত্যপণ্য দিচ্ছে স্বনামধন্য শিল্পগোষ্ঠী ‘যমুনা গ্রুপ’। যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নুরুল ইসলামের স্বপ্নের বাস্তবরূপ হচ্ছে হোলসেল ক্লাব। তারই হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন যমুনা গ্রুপ ও হোলসেল ক্লাবের পরিচালক সোনিয়া সারিয়াত।
হোলসেল ক্লাব কর্তৃপক্ষ যুগান্তরকে জানায়, এ বছর ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমরা আমদানি করা নামিদামি পণ্যের ওপর বিশেষ অফারে পণ্য বিক্রি করব। কারণ হোলসেল ক্লাব ব্যবসা নয় বরং ক্রেতাদের সেবা দিতে চায়। এ জন্য আমরা কুরবানি ঈদের আগে বিভিন্ন পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে পণ্য সরবরাহ করেছি। এবার ঈদের পর বিভিন্ন আমদানি করা পণ্য বিভিন্ন অফারে বিক্রি করব। এর ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা জুস ও সফট ড্রিংকস ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
কুড়িল বিশ্বরোড থেকে আসা মো. আজমুল বলেন, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে হোলসেল ক্লাব কিছুটা হলেও ক্রেতার কথা চিন্তা করছে। কর্তৃপক্ষ ক্রেতার সেবায় বিশেষ অফার ও ছাড় দিয়ে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করছে। যে কারণে আয়ের সঙ্গে ব্যয় সামলাতে কিছুটা হলেও আমাদের উপকার হচ্ছে। তাছাড়া এখানে যেসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে তা আসল পণ্য। তাই প্রতারিত হওয়ার ভয় নেই। যে কারণে এখান থেকেই সব সময় কেনাকাটা করি।
বনানী থেকে আসা নুসাইবা বলেন, এখানে বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুস ও সফট ড্রিংকস পাওয়া যায়। যা বিশ্বমানের। আর দামও হাতের নাগালে। তাই দরকার হলেই হোলসেল ক্লাব থেকে এসব পণ্য নিতে আসি। এছাড়া এসে দেখলাম জুস ছাড়াও বিভিন্ন আমদানি করা পণ্যের মূল্য ছাড় চলছে। তাই দেখছি, পরিবারের জন্য আরও কী কী নেওয়া যায়।
সূত্র জানায়, গুণগতমানসম্পন্ন পণ্য ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিতে হোলসেল ক্লাব নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন দেশের নামিদামি ব্র্যান্ড থেকে পণ্য সরাসরি আমদানি করছে। ন্যায্যমূল্যে বিশ্বমানের পণ্যসেবা দিয়ে দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে স্বপ্নের এ প্রতিষ্ঠান।
এছাড়া উন্নত বিশ্বের নামিদামি মার্কেটের আদলে স্বপ্নের এ মার্কেটের আয়তন প্রায় ২ লাখ বর্গফুট। এখানে মানুষের দৈনন্দিন সব ধরনের পণ্য একই ছাদের নিচে সহনীয় মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। সবমিলিয়ে এখানে দেশি-বিদেশি ৫০ হাজারের বেশি পণ্য রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি আমদানি করা পণ্য। এসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালমার্ট, কস্টকো এবং স্যাম’স ক্লাবের মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড থেকে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সরাসরি আমদানি হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ন্যায্যমূল্যে বিশ্বমানের পণ্যসেবা দিয়ে দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কের হাইপার মার্কেট ‘হোলসেল ক্লাব’। মাছ-মাংস, শাকসবজি, চাল-ডাল থেকে শুরু করে সব ধরনের নিত্যপণ্য, দেশি-বিদেশি ফল, প্রসাধনী, বেকারি আইটেম, ফলমূল, ওষুধ, আসবাবপত্র, রান্নাঘরের সরঞ্জাম, চাদর থেকে শুরু করে ঘরের যাবতীয় পণ্য, শিশুদের খাবার, বই, এমনকি পোষা প্রাণীর খাবারও রয়েছে এ মার্কেটে। এখানে ই-কমার্সের মাধ্যমেও পণ্য মিলছে। ফলে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে হোলসেল ক্লাবের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি অনেক বড় পরিসরে হওয়ায় ক্রেতারা এখানে স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারছেন। এছাড়া তাদের রিফ্রেশমেন্টের জন্য বেকারি অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট রয়েছে। সেখানে ফ্রেস জুস থেকে শুরু করে কফি, আইসক্রিম ও সব ধরনের ফাস্টফুড আইটেম পাওয়া যাচ্ছে।