ভূমি অধিগ্রহণ সেবায় দালাল ও টাউটদের দিন ফুরিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মমিনুর রহমান। 

বৃহস্পতিবার ঢাকা জেলা প্রশাসন হল রুমে ভূমি অধিগ্রহণ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ডিসি বলেন, স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন-২০১৭ অনুযায়ী ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে সেবার মান সহজীকরণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম, ভূমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আপত্তি প্রদান, অনলাইনে ভূমির ক্ষতিপূরণ গ্রহণ বিষয়ে যেকোনো ধরনের জিজ্ঞাসা ও সার্বিকভাবে ভূমি অধিগ্রহণ সহজীকরণ সংক্রান্ত বিষয়ে ‘ভূমি অধিগ্রহণ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার’ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যক্রম চালু করেছে। এর মাধ্যমে জনগণ সরাসরি সংশ্লিষ্ট অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেবা গ্রহণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে যেসব দালাল মানুষকে প্রতারণা করে দিনের পর দিন ভোগান্তিতে ফেলত, তার অবসান হবে।

তিনি বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারটির মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণরূপে অনলাইনভিত্তিক করা হয়েছে এবং অধিগ্রহণ শাখার সব কার্যক্রম ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সম্পাদিত হবে। এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের একটি অনলাইনভিত্তিক নির্ভরযোগ্য যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে। 

ডিসি বলেন, এ কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে সফটওয়্যারভিত্তিক নোটিশ প্রস্তুত, স্বত্বস্বার্থের বিবরণী, রোয়েদাদ প্রস্তুত, লেজার বহি, রেজিস্ট্রার ইত্যাদি প্রস্তুত সহজে ও অতি দ্রুততার সঙ্গে সম্পাদিত হবে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোডের মাধ্যমে সরাসরি আবেদন করতে পারবে এবং তাদের ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির আবেদনের ওপর গৃহীত সর্বশেষ অবস্থা ঘরে বসে জানতে পারবেন। ফলে ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তিতে হয়রানি বন্ধ হবে। এতে একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের ভোগান্তি শেষ হবে, অপরদিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সব কাজের তদারকি, নিয়ন্ত্রণ ডিজিটালাইজড, আধুনিকায়ন ও সহজ হবে। 

দক্ষ, সেবামুখী ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসন এসব যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে জানান তিনি। 

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মমতাজ বেগম, পারভেজ চৌধুরী, কাজী হাফিজুল আমিন, মো. শিবলী সাদিক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম হেদায়েতুল ইসলামসহ ঢাকা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।