উচ্ছেদের আগে পুনর্বাসন চান কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ীরা
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৩, ১০:১৪ পিএম
![উচ্ছেদের আগে পুনর্বাসন চান কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ীরা](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2023/05/24/image-678346-1684944852.jpg)
আমরা অস্থায়ী ব্যবসায়ী নই। কারওয়ানবাজারে ব্যবসায়ীদের বার্ষিক লেনদেন ৩০০-৩৫০ কোটি টাকা। এখানকার বিক্রেতারা সরকারকে ভ্যাট, ট্যাক্স, রাজস্ব সব দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তাই ঝুঁকি বিবেচনায় কারওয়ানবাজার কাঁচামালের আড়তের দোতলার অংশ ‘সিলগালা’ করে দেওয়ার আগে পুনর্বাসন করতে হবে বলে জানান কাওরান বাজার কাঁচামাল আড়ত ব্যবসায়ী মালিক বহুমুখী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান চৌধুরী।
বুধবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার পাকা আড়ত ভবনের নিচ তলায় সমিতির পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে সমিতির পক্ষ থেকে তিনি এ দাবি জানান। এ সময় সমিতির অন্যান্য নেতা ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মো. সাইফুর রহমান চৌধুরী বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা না করেই সিটি করপোরেশন দোতলার অংশ ‘সিলগালা’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মার্কেট সিলগালা করার আগে সেখানকার ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করতে হবে। আমরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানতে পারছি, বৃহস্পতিবার এটা সিলগালা বা বন্ধ করে দেওয়ার চিন্তা করছিল সিটি করপোরেশন। তাছাড়া ১১ মে কাঁচামালের আড়ত ভবনের দোতলা অংশ বন্ধ করতে গিয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। কিন্তু ব্যবসায়ীদের বাধায় সেদিন তারা তা করতে পারেননি।
তারা জানিয়েছিলেন, ২৪ মে কাঁচামালের আড়ত মার্কেটের দোতলা অংশ সিলগালা করে দেওয়া হবে। কিন্তু এই মার্কেটের সঙ্গে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান জড়িয়ে আছে। আমাদের দাবি- মার্কেট বন্ধ না করে এই লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে, বিশেষত পুনর্বাসন করে যেন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা জানান, কারওয়ানবাজারে এই আড়ত বন্ধ করলে অন্তত ১ লাখ মানুষ কাজ হারাবেন। ব্যবসায়ীদের অধীনে অসংখ্য লেবার, ভ্যান ড্রাইভার, কুলি কর্মহীন হয়ে পড়বেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ৪৩ মার্কেটের মধ্যে ২০টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ মার্কেটগুলোর মধ্যে কারওয়ানবাজার ১ নম্বর মার্কেট, কারওয়ানবাজার ২ নম্বর মার্কেট, কারওয়ানবাজার অস্থায়ী কাঁচা মার্কেট (কিচেন মার্কেট), কারওয়ানবাজার কাঁচামালের আড়ত মার্কেট ভবন ‘অতি নাজুক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল মার্কেটগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তবে এসব মার্কেটে এখনো কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া এপ্রিলে বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ‘পরিত্যক্ত’ এসব মার্কেট ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত জানায়। সে সময় বলা হয়, রোজার ঈদের পর থেকে পর্যায়ক্রমে ভাঙার কাজ শুরু হবে। এজন্য ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োগ করা হয়।