Logo
Logo
×

রাজধানী

মিরপুরে কিশোর গ্যাং “ভাই ব্রাদার” গ্রুপের হামলায় গার্মেন্টস শ্রমিক আহত  

Icon

মিরপুর (ঢাকা) প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৩, ১০:৫৬ পিএম

মিরপুরে কিশোর গ্যাং “ভাই ব্রাদার” গ্রুপের হামলায় গার্মেন্টস শ্রমিক আহত  

রাজধানীর মিরপুরের কাফরুলে কিশোর গ্যাং “ভাই ব্রাদার” গ্রুপের হামলায় রাসেল মিয়া নামে এক গার্মেন্ট শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন। 

রোববার রাতে মিরপুর ১৩ নম্বর ইমাননগর পূর্ব বাইশটেকি রকির মুদির দোকানের সামনে ঘটনাটি ঘটে। হামলায় আহত রাসেল মিয়া মিরপুর ১৩ নম্বরের ওপেক্স গার্মেন্টের কোয়ালিটি  ম্যান পদে চাকরি করেন। 

এ ঘটনায় রোববার ৬ জনকে আসামি করে কাফরুল থানায় একটি অভিযোগ জমা দেন ভুক্তভোগী রাসেল মিয়া। অভিযোগে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- বাবু, রাহাত, শরিফ, ফাহিম, মিরাজ, আজিজুল হাকিম ও অজ্ঞাত ৫-৬ জন।  

অভিযোগে তিনি জানান, গত ৪-৫ দিন আগে মামলার ২নং বিবাদী রাহাত আমার এলাকার ছোট ভাই সাব্বিরের ব্যবহৃত একটি ব্লুটুথ এয়ারফোন জোরপূর্বক নিয়ে যায়। সাব্বির তার কাছে বিভিন্ন সময় এই ব্লুটুথ ফেরত চায়। 

ব্লুটুথ না দেওয়ার সাব্বির ঘটনাটি তাকে (রাসেল মিয়া) জানায়। গতকাল (রোববার) বিকালে মিরপুর-১৩ নম্বর ইমাননগর পূর্ব বাইশটেকী রকির মুদি দোকানের সামনে সাব্বিরের উপস্থিতিতে মামলার ২নং বিবাদী রাহাতকে  ব্লুটুথের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেন রাসেল।  

এতে ২নং বিবাদী রাহাত ক্ষিপ্ত হয়ে সাব্বিরকে সেখানেই চড়থাপ্পড় মারে। তখন সাব্বিরকে বাঁচাতে গেলে ২নং বিবাদী রাহাত ও তার বড় ভাই ১নং বিবাদী বাবু ফোন করে অপরাপর বিবাদীদের ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে। এতে ভয়ে সাব্বির পালিয়ে যায়।  

এরপর বিবাদিরা তাকে (রাসেল মিয়া) একা পেয়ে পেটাতে থাকে।  একপর্যায়ে ১নং বিবাদী বাবু তার হাতে থাকা সুইচ গিয়ার দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে রাসেল মিয়াকে শরীরের বিভিন্ন অংশে পোচ মারে। 

এরপর বিবাদীরা তাদের হাতে থাকা হাতুড়ি ও টেস্টার দিয়ে তার (রাসেল মিয়া) ঘাড়ে ও বুকে আঘাত করে। মিরপুর ১৩ নম্বর বাইশটেকি এলাকার স্থানীয়রা জানান কিশোর গ্যাং “ভাই ব্রাদার” গ্রুপের সদস্যরা মিরপুর ১৩ নম্বর কবরস্থান মসজিদের পেছনের খালি জায়গা ও পূর্ব বাইশটেকি এলাকায় বেশ সক্রিয়। 

দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই স্থানে এদের আনাগোনা থাকে। এদের গ্যাং লিডার মিরাজ। গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ৫০ থেকে ৬০ জন। স্থানীয়ভাবে এরা ভাই ব্রাদার গ্রুপ নামে পরিচিত।  

কাফরুল থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি  মামলা হয়েছে। আসামিদের বয়স ২০ এর উপরে। যেহেতু বয়স বেশি এরা কিশোর গ্যাং নয় বখাটে।  আসামি একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম