Logo
Logo
×

রাজধানী

সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণ: ২৪ ঘণ্টা পর সেই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৩, ১০:৪৬ পিএম

সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণ: ২৪ ঘণ্টা পর সেই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

মমিন উদ্দিন সুমন। ফাইল ছবি

পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে ব্যবসায়ী মমিন উদ্দিন সুমনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। 

দুর্ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টার মাথায় বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ধ্বংসস্তূপ থেকে একটি লাশ বের করে অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে স্বজনরা গিয়ে মমিন উদ্দিনের লাশ শনাক্ত করেন। 

মমিন উদ্দিনের শ্বশুর আব্দুর রউফ যুগান্তরকে বলেন, মঙ্গলবার বিকালে জামাইয়ের সঙ্গে শেষ কথা বলেছি। এরপর থেকে তাকে ফোন দিয়ে যাচ্ছি। ফোন ধরছে না। পরে জানতে পারি ভবনে বিস্ফোরণ হয়েছে। সারারাত হাসপাতালে জামাইকে তন্নতন্ন করে খুঁজেছি। বিকাল সাড়ে ৪টায় লাশ পাওয়া গেছে।

আধাঘণ্টা পর ৫টার দিকে মমিন উদ্দিনের প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী রবিন হোসেন শান্তর লাশ উদ্ধার করা হয়। শান্তর ভাই শাহাদাত হোসেন ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে তার লাশ শনাক্ত করেন। 

মমিন উদ্দিনের দুই মেয়ে এক ছেলে। বড় মেয়ে মালয়েশিয়ায় লেখাপড়া করে। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে সে দেশে চলে এসেছে। আরেক মেয়ে ও এক ছেলে ধানমন্ডিতে পড়াশোনা করে। এজন্য ধানমণ্ডিতে পরিবার নিয়ে থাকেন মমিন উদ্দিন সুমন।

মমিন উদ্দিনের দোকান কর্মচারি রাজীব এবং চাচাতো ভাই সম্রাটও বিস্ফোরণে মারা গেছেন।

আনিকা এজেন্সি ছাড়াও সিদ্দিকবাজারের গলিতে নিউ আনিকা স্যানিটারিসহ মোট চারটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। এছাড়া এই স্যানিটারি পণ্যের ব্যবসায়ীর আরও দুটি শোরুম আছে এলিফ্যান্ট রোডে। 

তার ছয় প্রতিষ্ঠানে অর্ধশতাধিক লোক কাজ করেন। ছয়টি শোরুম চালাতে তিনি একটি ছোটখাটো কারখানাও গড়ে তুলেছিলেন। সেখানে ৩০ থেকে ৩৫ জন কর্মচারী আছেন। 

বংশালের মালিটোলায় নিজের বাসাসংলগ্ন একটা মোটরসাইকেলের শোরুমেরও মালিক তিনি। সেখানে কাজ করতেন আরও ১০-১৫ জন। সব মিলিয়ে মমিন উদ্দিন সুমনের ওপর নির্ভরশীল শতাধিক পরিবার।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম