মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট
বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত ফর্ম বিক্রি, তোপের মুখে কর্তৃপক্ষ
মিরপুর (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২০ পিএম
রাজধানীর মিরপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সংবলিত প্রোফাইল ফর্ম (তথ্য ফর্ম) বিক্রি করে মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউটের (স্কুল শাখা) প্রশাসন তোপের মুখে পড়েছে। বুধবার কয়েকশ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীর কাছে ১০ টাকা করে প্রোফাইল ফর্ম বিক্রি করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। রোববার এ ফর্ম জমাদানের শেষ তারিখ।
প্রোফাইল ফর্মে বঙ্গবন্ধুর ছবি থাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম হয়। এর প্রতিবাদ করেন অভিভাবকসহ অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে স্কুল কর্তৃপক্ষ ফর্ম বিক্রি স্থগিত করে নোটিশ দেয়। নোটিশ ও ফর্মের কপি যুগান্তরের হাতে এসেছে।
প্রতিষ্ঠানটির স্কুল শাখার এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটিতে আওয়ামী লীগের দোসররা থাকায় ৫ আগস্টের পর শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দিয়ে স্কুলের ভর্তি ফর্ম বিক্রি করছে। এর দায় প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে নিতে হবে। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষিকা জিনাত ফারহানাকে কয়েক দফা কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিষ্ঠানটির স্কুল শাখার সহকারী শিক্ষিকা বিপাশা ইয়াসমিন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার স্ট্যাটাসটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। এতে অনেক লাইক ও কমেন্ট পড়ে। তার স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হওয়ার পরও আওয়ামী লীগের ক্যাডার শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধিরা ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ ফর্ম বিতরণ করে এখনো টাকা ইনকাম ও আওয়ামী লীগের প্রচারণার কাজ চালাচ্ছেন।
মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউটের প্রশাসন, তাদের নেতৃত্বে ৪ আগস্ট স্কুলের ছাদ থেকে গুলি, ইট-পাথর নিক্ষেপ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপরে, অথচ তাদের বিচার আজও হলো না। এরা এখনো দাপটের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রচারণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের সাপোর্ট দিচ্ছে কিছু অবৈধ শিক্ষক এবং স্থানীয় পেশিশক্তি, যারা নিজেরা খোদ আওয়ামী লীগ পরিবারের।
এরা যদি এখনো প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়ে বসে থাকে, তাহলে মিরপুর গার্লস আইডিয়াল কোনোদিনই স্বাধীন হবে না। এরা জোর করে স্টুডেন্টদের ব্যবহার করবে, অভিভাবকদের ব্যবহার করবে এবং অনৈতিক অবৈধ কাজ চালিয়ে যাবে। প্রাথমিক শাখায় প্রায় এক হাজার ফর্ম বিতরণ করে প্রচুর অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে এ প্রশাসন। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বিনীত আবেদন- তাদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’