Logo
Logo
×

ক্যাম্পাস

জবিতে এসে জাবির সেই শিক্ষক আটক

Icon

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম

জবিতে এসে জাবির সেই শিক্ষক আটক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৭ জুলাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার মদদদাতা দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমদকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) আটক করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জবি ক্যাম্পাসের রফিক ভবনের নিচে ডেপুটি রেজিস্ট্রার শাহানা আক্তারের রুম থেকে তাকে আটক করে শিক্ষার্থীরা। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা থাকায় পরবর্তীতে তাকে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করে জবির শিক্ষার্থীরা। 

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহিদ ইসলাম বলেন, আজ সকালে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি আসলে আমরা তাকে চিনতে পারি। শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলায় সহযোগিতা করায় তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা আছে। আমরা তাকে কোনো কিছু না করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করি। 

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, শিক্ষার্থীরা তাকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যম্পাসে আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করে। তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ওপর হামলার ঘটনায়। তিনি এখন আমাদের হেফাজতে আছেন। আশুলিয়া থানা যদি তাকে গ্রেফতার দেখায় তাও করতে পারে। অন্যদিকে তাকে গ্রেফতারের বিষয়ে আমরাও যদি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ পাই, তাহলে গ্রেফতার করে আদালতের কাছে সোপর্দ করব।

জানা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলা ও ১৭ জুলাই পুলিশি হামলার মদদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। গত ১৭ জুলাই বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথোপকথন ফাঁস হলে দেখা যায়, ফরিদ উদ্দিন শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আরেকটু অপেক্ষা করুন রাজাকারদের পরাজয় আসন্ন।’ 

শেখ হাসিনার পতনের পর গত ১৮ আগস্ট ফরিদ উদ্দিনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করে তার বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত ১৫ জুলাই রাতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য নুরুল আলমকে প্রধান করে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম। মামলায় হামলার মদদ দেওয়ার অভিযোগে ফরিদ উদ্দিনকে ৭ নাম্বার আসামি করা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম